কমিশন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা খোলাসা করেননি ইসি সচিব। তিনি বলেছেন, “বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।”
Published : 17 Apr 2024, 11:14 PM
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের মারধর, প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বুধবার বিকালে তৃতীয় ধাপের ১১২টি উপজেলার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি বলেন, “যে বিষয়গুলো গণমাধ্যমে এসেছে, তা নিয়ে কমিশন অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছে। সে সিদ্ধান্তগুলো ইতোমধ্যে আমরা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।”
প্রথমধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোট সামনে রেখে প্রায় দুই হাজার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, বুধবার বাছাইও শেষ হয়েছে। ৮ মে এসব উপজেলায় ভোট হবে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় মনোয়ন জমা চলবে ২ মে পর্যন্ত।
এর মধ্যে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক জায়গায় স্থানীয় প্রার্থীকে জেতাতে ক্ষমতাসীনদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার কমিশন সভায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ‘কিছু সিদ্ধান্ত’ হয়েছে বলে জাহাংগীর আলম জানান।
সোমবার বিকালে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায় তারা। ওই প্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান পদের আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে দেলোয়ার হোসেনের পরিবার। রুবেল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নাটোরের ঘটনায় ইসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কমিশন সচিব বলেন, “নাটোরের ঘটনাটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। দুইজনকে ইতিমধ্যে আটক করেছে। এদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সুতরাং ক্রিমিনাল অফেন্সের বিষয়েটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হচ্ছে।”
আর কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়টি দেখছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আইনগত দিকটা দেখতে হবে। যিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তার পক্ষে যারা করেছেন, তার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বৈধ হলে তখন সেটা নির্বাচন কমিশনের আওতায় আসবে। তখন তার উপর নির্বাচন সংক্রান্ত আইন কানুন প্রতিফলিত হবে।”
উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা যাতে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে প্রভাব বিস্তার না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।
শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তিনি বলেন, "ফ্রি স্টাইলে দল চলতে পারে না। উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে নিজের লোক জেতাতে প্রভাব বিস্তার করলে দল কোনভাবেই তা মেনে নেবে না।”
পুরনো খবর...
নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ‘অপহরণের পর মারধর’, গ্রেপ্তার ২
উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের হস্তক্ষেপ নয়: কাদের