ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এবার মাদক উদ্ধার টিমের সদস্য বর্তমানে মতিঝিল থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক জেসমিন আক্তার সাক্ষী দিয়েছেন।
Published : 18 Jul 2023, 04:55 PM
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানার মামলায় মডেল ও সাবেক টিভি উপস্থাপিকা ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এএসআই জেসমিন আক্তার।
বর্তমানে মতিঝিল থানায় কর্মরত এই পুলিশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আদালতের পেশকার সাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, এই মামলায় জেসমিন আক্তার ১২তম সাক্ষী।
জামিনে থাকা পিয়াসা এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক নূরুল মজিদ নয়ন সাক্ষী জেসমিন আক্তারের জবানবন্দী নেওয়ার পর তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এন হাসান জহির রোমেল যে জেরা করেছিলেন, সেটিও গ্রহণ করেন।
পিয়াসাকে ২০২১ সালের ১ অগাস্ট রাতে ঢাকার বারিধারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা পাওয়ার কথা বলা হয় সে সময়।
পেশকার সাইদুর রহমান বলেন, “সাক্ষ্যে মাদক উদ্ধার টিমের সদস্য জেসমিন বলেছেন, তিনি ওই সময়ে (পিয়াসার বাসায় অভিযানের সময়) ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে কাজ করতেন। তিনি সহকারী উপ-কমিশনার নুসরাত জাহান মুক্তা ও মুহিদুলের নেতৃত্বে মাদক টিমে ছিলেন। সে সময় চারটি হুইস্কির বোতল, ৭৮০টি ইয়াবা, একাধিক মুখ খোলা ও মুখ বন্ধ মদের বোতল তার সামনে এসআই শহিদুল উদ্ধার করেন।”
গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মোরশেদ আলম এই মামলায় পিয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
পিয়াসাকে গ্রেপ্তারের দিন মোহাম্মদপুর থেকে আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকেও আটক করা হয়। তখন গোয়েন্দা পুলিশ বলেছিল, পিয়াসা ও মৌ বাড়িতে ‘পার্টি’ করে বিভিন্নজনকে আমন্ত্রণ জানাতেন, সেই ছবি তুলে রেখে পরে তাদের ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন।
গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় পিয়াসাকে চারদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর ভাটারা এলাকা থেকে ৭ হাজার ২০০ ইয়াবা জব্দ করার কথাও সে সময় গোয়েন্দারা বলেন।
ওই ঘটনায় পিয়াসা ও তার সহযোগী শারফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অধীনে ভাটারা থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।
সিআইডির পরিদর্শক মো. আব্দুল লতিফ ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী। রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের ৬ মে সাফাত গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত। ওই মামলায় পরে খালাস পান সাফাত।
মহামারীর মধ্যে কলেজছাত্রী মোশারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যার মামলায় আবারও পিয়াসার নাম আসে। সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
মাদক মামলায় পিয়াসার বিচার শুরুর আদেশ
মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা গ্রেপ্তার