মুনিয়াকে ‘হত্যা ও ধর্ষণের’ মামলায় পিয়াসার জামিন

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ‘হত্যা ও ধর্ষণের’ মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2022, 02:14 PM
Updated : 15 March 2022, 02:14 PM

মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের বেঞ্চ একটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাকে জামিন দেয়।

গত বছর ১৯ ডিসেম্বর পিয়াসার পক্ষে উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান। পরে আইনজীবী পরিবর্তন করে আসামিপক্ষ নোমান হোসাইন তালুকদারকে মামলার দায়িত্ব দেয়।

পরে জামিন আবেদনের শুনানি করে ২৬ ডিসেম্বর রুল জারি করে আদালত। রুলে গুলশান থানার ওই মামলায় পিয়াসাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আইনজীবী নোমান হোসাইন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুনিয়া হত্যা মামলায় জামিনের এই আদেশের মাধ্যমে পিয়াসার মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না।”

পিয়াসার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে আরও দুটি মামলা রয়েছে, সেগুলোতে তিনি আগেই জামিনে রয়েছেন।”

আদালতে পিয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও নোমান হোসাইন তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

গত বছর ১৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সেই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।

এ মামলার এজাহারে বলা হয়, মুনিয়া ও আনভীরের ‘প্রেমের সম্পর্কের কথা’ জানতে পেরে আসামির মা সেই পিয়াসার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ‘ভয়ভীতি’ দেখিয়েছিলেন মুনিয়াকে।

এরপর গত বছরের ১৮ অগাস্ট এ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর সায়েম সোবহান আনভীর, তার পরিবারের সদস্য এবং মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাসহ আটজনের বিরুদ্ধে ‘হত্যা ও ধর্ষণের’ অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মুনিয়ার বোন তানিয়া।

এর আগে গত বছর ২ অগাস্ট ঢাকার বারিধারার একটি বাসা থেকে মাদকসহ পিয়াসাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।

পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের ৬ মে সাফাত গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত।