বনায়নের কারণে সুন্দরবন ও আশপাশ এলাকা হয়ত কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু বনায়ন কম এমন এলাকায় বরিশাল-পটুয়াখালীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।
Published : 26 May 2024, 05:30 PM
বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সময়ে জন্ম নেওয়া ঝড়-সাইক্লোনে স্থলভাগের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঠেকাতে বরাবরই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের এগিয়ে আসার আগমুহূর্তে আবারও আলোচনায় বাংলাদেশ অংশে ছয় হাজারের বেশি বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। ধারণা করা হচ্ছে, ‘সিডর’, ‘আইলা’, ‘বুলবুল’, ‘আম্পান, ‘ইয়াস, এর মত এবারও সুন্দরবন ‘রেমাল’ রুখে দেবে।
তবে আবহাওয়াবিদদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ‘রেমাল’ সরাসরি সুন্দরবনে সরাসরি আঘাত না হানলেও যাত্রাপথে এর ঝাপটা লাগবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ বর্তমান উত্তরমুখী গতিপথ ঠিক থাকলে এটি রোববার সন্ধ্যা ৬ থেকে রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশের পুটয়াখালীর খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল উঠে আসতে পারে। এর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেও সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে পারে তাণ্ডব।
রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রাতে ধীর গতিতে এগিয়েছে। সকাল থেকে ঘণ্টায় ৭-৮ কিলোমিটার বেগে এগিয়েছে। আর দুপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার করে এগিয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি এসে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে। এসময় একটানা গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।”
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রকৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটাকে প্রায় আইলার সঙ্গে তুলনা করতে পারি, সেইম ক্যটাগরির। আবার কোনো ঘূর্ণঝড়ের সঙ্গে কোনো ঘূর্ণিঝড় সিমিলার হবে না।”
তিনি বলেন, “প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ব্যাসার্ধ ২০০ কিলোমিটার। মানে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে রেমাল পার হওয়ার সময় বামে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে সুন্দরবনের বিস্তূর্ণ এলাকা পাবে আর ডানে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী পাচ্ছে।
“সেক্ষেত্রে খেপুপাড়ার পাশা দিয়ে অতিক্রমের সময় সুন্দরবনের উপর দিয়েও এর প্রভাব থাকবে যেমন, বরিশাল-পটুয়াখালীতেও পড়বে।”
খেপুপাড়া থেকে সুন্দরবনের দুরত্ব অন্তত ১০৮ কিলোমিটার বলে জানান তিনি।
“এসময় বনায়নের কারণে সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকা হয়ত কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু বনায়ন কম এমন এলাকায়, বরিশাল-পটুয়াখালীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে,” বলেন আজিজুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি
সাল |
দুযোগ |
লোকের মৃত্যু |
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ |
আর্থিক ক্ষতি |
১৯৯১ |
ঘূর্ণিঝড় |
১,৩৮,৯৫৮ |
১,৩৯,১৯,৫০৪ |
১৭,৮০,০০০ মিলিয়ন ডলার |
১৯৯৪ |
|
১,৩৪ |
৪,২২,০২০ |
|
১৯৯৫ |
|
৯১ |
৩০৫,৯৫৩ |
|
১৯৯৬ |
|
৫,৪৫ |
৮১,১৬২ |
|
১৯৯৭ |
|
১২৭ |
৩৭,৮৪,৯১৬ |
|
২০০৭ |
সিডর |
৩,৩৬৩ |
৮৯,২৩,২৫৯ |
২৩,০০,০০০ মিলিয়ন ডলার |
২০০৯ |
আইলা |
১,৯০ |
৩৯,২৮,২৩৮ |
২৭০ মিলিয়ন ডলার |
২০১৬ |
রোয়ানু |
২৭ |
|
|
২০১৯ |
ফণী, বুলবুল |
৩২ |
২৪,৬৫,৭১১ |
৩৮,৫৪,০২,৫০০ টাকা |
২০২০ |
আম্ফান |
২৮ |
৬৭,০৭২ |
৩১৭২,১৬,৬৪,৯১৩ টাকা |
২০২১ |
ইয়াস |
৭ |
২৮,৪২৮ |
২৯৫১,৭০,৩০,৬২৭ টাকা |
২০২২ |
চিত্রাং |
১৭ |
১,৪২,৬০১ |
৬৮৮,৯৫,৫৪,৬২৫ টাকা |
২০২৩ |
(হামুন, মোখা, মিধিলি) |
১০ |
৪৮,৭৬৭ |
৬৫৯,১৪,৩৫,৮১২ টাকা |
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন, “এ অঞ্চলে বেশকিছু ঝড় সুন্দরবনের দিকে এসেছে সত্যি। কিন্তু আপার স্টিয়ারিং উচ্চচাপ সিস্টেমের উপর নির্ভর করে ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতি।
“এখন পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এর প্রভাব পড়বে। বরাবরের মতো সুন্দরবনই প্রকৃতির ঢাল হয়ে থাকবে। আর জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ে ধানসহ হয়ত ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে।”
তবে উপকূলে এসে ‘রেমাল’ দ্রুত দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে আভাস দেন তিনি।
এর ব্যাখ্যায় এই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ বলেন, “প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার বেগে কোথাও কোথাও ঝড় বয়ে যাবে। ‘রেমাল’ অল্প সময় পেয়েছে। ২২ মে লঘুচাপটি হওয়ার চার দিনের মাথায় ঘূর্ণিঝড় হয়ে উপকূল অতিক্রম করছে। কখনও কখনও সাগরে বেশিদিন স্থায়ী হয়ে ঘূর্ণিঝড় হলে তা আরও বেশি ভয়ংকর হতে পারে। সমুদ্রে পানির সংস্পর্শে ঘূর্ণিঝড় যত বেশি শক্তি সঞ্চয় করে, স্থলে এলেই তা দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়।”
সুন্দরবনের প্রতিরোধ
২০০৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ এবং ২০০৭ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ও স্থলভাগে উঠে এসেছিল সুন্দরবন উপকূল দিয়ে। এর মধ্যে ‘আইলা’য় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। আর ‘সিডরের’ শক্তি ছিল তার দ্বিগুণেরও বেশি, ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ‘সিডরের’ আঘাতে মৃত্যু হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের। কিন্তু আরও বহু মানুষ বেঁচে যায় সুন্দরবনের কারণে। এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ঝড়ে ভেঙে পড়ে বনের হাজার হাজার গাছপালা।
২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ও ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ সুন্দরবনে আঘাত হানে। তবে আগের তুলনায় সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও দুই ঝড়ে যথাক্রমে ২৪ ও ৭ জনের মৃত্যু ঘটে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগযাউম’, যা পরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।
তারও আগে গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মৃত্যু হয় নয়জনের।
এবারও সুন্দরবনের ঢাল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যানগ্রোভ বনটি নিজে ক্ষতি সয়ে এবারও ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা অনেকটাই ঠেকিয়ে দেবে। সুন্দরবনের অবস্থানটাই এমন। উপকূলভাগের কিছু গাছপালা হয়তে নষ্ট হবে। কিন্তু তারপরও যে গতিতে ঘূর্ণিঝড় আসে, সেই গতি কমিয়ে দেয় সুন্দরবন। এবারও সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, “‘রেমালের’ সম্ভাব্য গতিপথ সুন্দরবনের দিকেও রয়েছে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের বনকর্মী, বনজীবী থেকে শুরু করে নৌযান চলাচল, নিরাপত্তামূলক, যা যা করা দরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
মানুষের প্রাণ ও সম্পদ রক্ষায় অবিচল যে বন, তার সুরক্ষায় কতটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো’র ভাষ্য, সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের মধ্যে এর জীববৈচিত্র্যও আগের চেয়ে বেড়েছে।
“ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি তো থাকেই। কিন্তু এখানকার জীববৈচত্র্যের জন্য ঘূর্ণিঝড় তো হুমকি। তবে ঝড়ের আগে ও পরে করণীয় বিষয়ে আমাদের সচেতনতা রয়েছে।”
তার প্রত্যাশা, সাম্প্রতিক সময়ের মতো সুন্দরবন এবারও নিজে রক্ষা পাবে, অন্যদেরও ঢাল হবে ।
ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড ম্যারিটাইম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার দাশ বলেন, “সুন্দরবন ঢাল হিসেবে তো কাজ করবেই। কিন্তু আমরা সুন্দরবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছি। আগুনে পুড়ে অনেকটা জায়গা নষ্ট হল, বিভিন্ন ইনফ্রস্টাকচার তৈরি করা হয়েছে। ঢাল হিসেবে রক্ষা না করলে তো আরো অনেক বেশি ক্ষতি হত। ফোল্ডার ভেঙ্গে গেছে, ফোল্ডার নষ্ট- সেখানে তো সুন্দরবনের ঢাল হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই।”
তার মতে, ইনফ্রাস্টাকচার তৈরি করা যাবে না। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো রেখে কাজ করতে হবে।
“আগুনে যে পুড়ল, সেটার জন্য কিন্তু আমাদের ভুগতে হবে। কারণ ঘুর্ণিঝড় তো বছরে দুইবার হবেই। এটা মাথায় রেখে আমাদের ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সুন্দরবনকে সুন্দরবনের মতো রাখতে হবে এবং সেটাকে মেইনটেইন করতে হবে।”
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সম্পর্কে মোহন কুমার দাশ বলেন, “এটার স্পিড বেশি, আর যদি জোয়ারের সময়ে হিট করে তাহলে খুব ভয়ঙ্কর হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্বলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা বাড়ছে। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় বন্যার অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানেও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বন্যা হবে। এই ঘূর্ণিঝড়টা অনেকটা আইলার মতো।”
ঝড়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতিও নেহাত কম নয়।
বুয়েটের বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, “এখন সমুদ্রের তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তার যে প্যাটার্ন, হয়ত সে (ঘূর্ণিঝড়) এদিকে শক্তি বেশি পায়, মুভমেন্টাটা সহজ হয়। গবেষণা না করে বলা যাচ্ছে না। তবে শেষ বেশি ঘূর্ণিঝড় এদিক দিয়েই যাচ্ছে। এখন খুব দ্রুত ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে এ কারণে।”
তার মতে, ঘূর্ণিঝড় একদিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে উপকূলে আসছে। এর মানে, সমুদ্র থেকে অনেক বেশি শক্তি পাচ্ছে। যেহেতু বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে সুন্দরবন এলাকায় বেশি আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড়।
“এবারও সুন্দরবন রক্ষা করবে অনেকটা। কারণ ঢেউয়ের যে ধাক্কা সেটা অনেকটা কমায়, বাতাসটা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যাবে, জলোচ্ছ্বাসের ক্ষেত্রে এতটা কার্যকর না হলেও বাকি ক্ষতিগুলো সুন্দরবনের কারণে অনেকটা কমে আসবে। এটা যদি অন্যদিক দিয়ে যেত তাহলে ক্ষতিটা অনেক বেশি হত।”
সুন্দরবনের সুরক্ষায় মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া যেত পারে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন, “সরকারকে আরো একটু সক্রিয় হতে হবে। সবসময় তো সুন্দরবন একা রক্ষা করবে না। অন্যান্য জায়গায়ও কিন্তু বনায়ন তৈরি করতে হবে। ঝড়, বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এগুলো থেকে রক্ষা পাব, প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইডকে গ্রহণ করবে, অক্সিজেন দেবে।
“গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে- গাছ কাটলে সেসহ তার পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর একটা বন কিন্তু তৈরি করা যাবে না, শুধু বাড়ানো যেতে পারে। এজন্য কোনোভাবে যেন বনগুলো নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।“
আরও পড়ুন...
'ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে রক্ষা করে, তাই সুন্দরবনকে ভালবাসতে হবে'
বুলবুলকে 'রুখে দিল' প্রকৃতির ঢাল সুন্দরবন
পেটের দায় আর লোভে বিষাক্ত হচ্ছে সুন্দরবন
সুন্দরবনের জন্য ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প