২০০২ সাল থেকে বাগেরহাটসহ সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দিবসটি পালন করে আসছে।
Published : 14 Feb 2024, 06:44 PM
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে সুন্দরবন প্রাকৃতিকভাবে উপকূলবাসীকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে তাই সবারই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনকে ভালবাসা উচিত বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
সুন্দরবন দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার বাগেরহাটে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’- স্লোগানে বাগেরহাট প্রেসক্লাব এদিন আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ ছাড়া মোংলা উপজেলার সুন্দরবন লাগোয়া পশুর নদের পাড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সংগঠন দুটি মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. ফখরুল হাসান। প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিষ্ণুপ্রসাদ চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম টুকু, শেখ আহসানুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, সাংবাদিক আলী আকবর টুটুল। সভা সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন জাতীয় সম্পদ। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন মানুষকে রক্ষা করে। সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত আগলে রাখে। তাই সুন্দরবনকে বাঁচাতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।
সভা শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
২০০২ সাল থেকে উপকূলীয় বাগেরহাটসহ সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দিবসটি পালন করে আসছে।
২০০১ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি সংগঠন রূপান্তর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপাসহ দেশের অর্ধশতাধিক সংগঠন যৌথভাবে সুন্দরবনের সম্পদের সুরক্ষা, পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবিতে এবং সুন্দরবনের প্রতি দেশ-বিদেশের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে খুলনায় তিন দিনের জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন আয়োজন করে।
সম্মেলন থেকে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। আয়োজকরা শুরু থেকে এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে আসছেন।