“হঠাৎ করে এনআইডিকে অন্য কোনো নির্বাহী বিভাগের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ভোটার তালিকার বিশ্বস্ততা ও এনআইডি সেবা নিয়ে প্রশ্ন হয়ত উঠতে পারে,” বলেন তিনি।
Published : 17 Sep 2024, 09:06 PM
জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা শতভাগ নির্ভুল ও দুর্নীতিমুক্তভাবে দিতে কাজ করছেন বলে তুলে ধরে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, আগামীতে এটা দৃশ্যমান হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
ইস সচিব বলেন, এনআইডি সেবা ভোটার তালিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ছবিসহ ভোটার তালিকার উপজাত এই এনআইডি, যার সম্পূর্ণ তথ্যভাণ্ডার ইসির কাছে রয়েছে।
“এটা খুবই স্পর্শকাতর। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশি সুরক্ষিত থাকবে বলে আমাদের কাছে মনে হয়। এনআইডি সেবা একটি কারিগরি কাজ। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কর্মীরা এতদিন এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এ সময়ে হঠাৎ করে এনআইডিকে অন্য কোনো নির্বাহী বিভাগের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ভোটার তালিকার বিশ্বস্ততা ও এনআইডি সেবা নিয়ে প্রশ্ন হয়ত উঠতে পারে।”
এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়নি বলে তার মনে হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে আইন করা হয়েছিল, ক্ষমতার পালাবদলে তা বাতিল চেয়ে ১০ সেপ্টেম্বর চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। তাদের দাবি অনুযায়ী আইনটি বাতিল হলে এনআইডি সেবা আগের মতই নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে।
ইসি সচিরের সই করা ওই আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির কাছে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ইসি সচিব বলেন, “বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি। এ বিষয়ে এথন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এনআইডি ইসির অধীনে থাকা উচিত। ভবিষ্যতে এ সেবা আরও বিস্তৃত হবে। হস্তান্তর হলে মানুষ আরও হয়রানির সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছি।”
সরকার থেকে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, “আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যে কোয়ারিগুলো- সেগুলোর উত্তর দিচ্ছি। আমাদেরও প্রমাণ করতে হবে, আমরা ভালো সেবা দিচ্ছি। এ জন্য আমরা মাঠ প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে মনিটরিং এর আওতায় আনছি।
“আমরা মনে করি, মানুষ বুঝুক নির্বাচন কমিশন এটা কোনো ধরনের ভ্রান্তি ছাড়া সঠিক ও সহজভাবে দিচ্ছে। আমরা ১০০ ভাগ নির্ভুল, দু্র্নীতিমুক্ত ও দ্রুত সেবা দিতে চাই। এ জন্য আমরা কাজ করছি। আগামীতে এটা দৃশ্যমান হবে।”
এনআইডি ইসির কাছে থাকবে- এমনটা প্রত্যাশা করেন কি না; এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, “আমরা আমাদের যুক্তিগুলো বলেছি। এখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়ার জন্য আইন হলেও এখনও কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে রাখার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে শফিউল আজিম বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যে, ডাটাবেইজ আমাদের কাছেই আছে।
“টেকনিক্যাল দক্ষ জনবল রয়েছে, সেটা রাতারাতি করতে (ইসি থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে) গেলে আবার একটা বিশৃঙ্খলা হতে পারে। সব চেয়ে বড় কথা সাড়ে ১২ কোটি নাগরিকের যে সুরক্ষিত তথ্য রয়েছে; এখন মাঝপথে এসে এটা করতে গেলে এই তথ্যের সুরক্ষার কোনো ব্যত্যয় হবে কি না, সেটাও বিবেচনা করার বিষয় রয়েছে।”
আরও পড়ুন
এনআইডি সেবা হাতে রাখতে ফের উদ্যোগী ইসি