রাজনৈতিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান: এল রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সংগঠন ‘বিপিএসএন’

১৯৭২ সালের সংবিধানের মৌলিক আদর্শ অনুসরণ, মুক্তচিন্তার বিকাশ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান-কাঠামো গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

শান্তিপূর্ণ পন্থায় রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান, স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরাসহ নানান লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে; যেটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল সায়েন্স নেটওয়ার্ক’ বা বিপিএসএন।

শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির মিলনায়তনে এক আয়োজনে এ সংগঠন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণায় নিয়োজিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা এ সংগঠনের সদস্য।

এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জ্ঞানই শক্তি’ এই মূলমন্ত্র ধারণ করে গঠিত সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষকদের পেশাদারিত্ব ও জ্ঞানগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি, ১৯৭২ সালের সংবিধানের মৌলিক আদর্শ অনুসরণ, মুক্তচিন্তার বিকাশ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান-কাঠামো গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন।

সমতাভিত্তিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক ভূমিকা, সাংঘর্ষিক রাজনীতির আবর্ত থেকে বাংলাদেশের বের হওয়ার পথ অনুসন্ধানও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা এতে অংশ নেন।

ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষকরা জুম প্লাটফর্মে সভায় যুক্ত ছিলেন। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আগামী দুই বছরের মেয়াদে গঠন করা কার্যকরী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। সহ সভাপতি হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসেন ও অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানউজ্জামান, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব চট্টগ্রামের উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুল হক চৌধুরী এবং বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক জালাল ফিরোজ।

সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী।

কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাব হোসেন কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক শরীফ আহমদ চৌধুরী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন।

কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরও ১২ জন।