বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
Published : 03 Nov 2024, 01:27 AM
ঢাকার কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুনের ঘটনায় আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার ভাষানটেক ও কাফরুল এলাকা থেকে আটকের পর তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের তথ্য দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।
এর আগে একই ঘটনায় শুক্রবার ভাষানটেক এলাকা থেকে তিনজনকে আটকের তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার আটক করা হয়েছে- আলমগীর, রেশমা খাতুন, মাহফুয মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও কাজী রাসেলকে।
তাদেরকে ভাষানটেক ও কাফরুল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কথা বলেছে আইএসপিআর।
বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার কচুক্ষেত এলাকার কয়েকটি তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
শ্রমিকরা পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রাক এবং সেনাবাহিনীর একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
সেদিন এ ঘটনায় সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ ঝুমা আক্তার (১৫) ও আলামিনকে (১৭) ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। ঝুমার ডান পায়ে এবং আলামিনের কাঁধে গুলি লেগেছে।
শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলেছে, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আক্রমণ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের প্রেক্ষিতে' পরিচালিত যৌথ অভিযানের ধারাবাহিকতায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'পরিকল্পিতভাবে' সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং সরকারি সম্পদ বিনষ্টকারী দুষ্কৃতীকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কচুক্ষেতে সংঘর্ষ: সেনা অভিযানে আটক ৩
কচুক্ষেতে সেনা ও পুলিশের গাড়িতে পোশাক শ্রমিকদের আগুন, গুলিবিদ্ধ ২