শাহবাগ মোড়ে ‘একতার বাংলাদেশ’ ব্যানারে সম্প্রতি সমাবেশ হয়।
Published : 14 Aug 2024, 08:55 PM
সব ধর্মের মেলবন্ধনে সাম্য ও মানবিক মর্যাদাপূর্ণ দেশ গড়ার শপথ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
বুধবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে ‘একতার বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত সম্প্রতি সমাবেশে এ শপথ নেন তারা, যাতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
শপথ পাঠ করান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্লাবন তারিক।
সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, “যতদিন দেশ থেকে কুচক্রী মহল বিতাড়িত না হবে, ততদিন আমাদের পাহারা থাকতে হবে। কোনোভাবেই কুচক্রী মহলকে ছাড় দেওয়া যাবে না।
“দিল্লিতে পরিত্যক্ত স্বৈরাচার আছেন, অথচ তার ছেলে জয় বলেন, তার মা পদত্যাগ করেনি। সেখান থেকে তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সতর্ক থাকতে হবে। অবশ্যই ভেতরের ষড়যন্ত্র আঁচ করতে হবে।”
দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, অতীতে রামুসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। সম্প্রীতির বাংলাদেশে অতীতের সকল ঘটনার বিচার চাই, দ্রুত ট্রাইবুনালে বিচার চাই।
”আমরা সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। আমাদের পূর্বপুরুষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এখানে রক্ত দিয়েছে। আমরা এ দেশ ছাড়তে চাই না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে আমাদের মন্দির পাহারা দিতে হবে না। মুসলিম ভাইয়েরা আমাদের এ মুহূর্তে মন্দির পাহারা দিচ্ছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
তিনি বলেন, “যারা আমাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তারা দুর্বৃত্ত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ফাদার তপন ডি রোজারিও বলেন, “বৈচিত্র্য এবং সম্প্রীতি আমাদের বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য। এ আন্দোলনে সবার ভূমিকা আছে। আমরা শান্তিতে সমর্থন করব।“
একই বিভাগের আরেক শিক্ষক অধ্যাপক আবু সায়েম বলেন, “জুলাইয়ের বিপ্লবকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে পরিচিত করতে চাই। এখানে সব ধর্মের জনতা রক্ত দিয়েছেন। এতে সবার অবদান আছে, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, আদিবাসী সবার। সম্প্রীতির বাংলাদেশে অস্প্রদায়িকতা সম্ভব নয়।”
ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের আররি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ দেশে হিন্দু- মুসলমান বলে কোনো ভেদাভেদ ছিল না, থাকবেও না।
”আজকের এই সম্প্রীতির সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ আমাদের এই বন্ধন অটুট থাকবে। ন্যায়ের পক্ষে, দেশের তরে আমরা সবাই এক থাকব।”
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার ও সারজিস আলম।