দুদক বলছে, প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ গড়েছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা, এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন।
Published : 28 Oct 2024, 09:10 PM
সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে।
কমিশনের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, যে তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদের কথা বলা হচ্ছে, তার ‘একটি উল্লেখযোগ্য অংশ’ গোলাম ফারুক তার স্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আত্মীয়দের কাছে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
“তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহরে জন্য এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।”
দুদকের হাতে থাকা অভিযোগে বলা হয়েছে, ফারুক যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী। তার স্ত্রীর ভাই, বোনেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
“খন্দকার গোলাম ফারুক নিজে এবং তার নিকট আত্মীয়দের দিয়ে তার অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আমেরিকায় বসবাসরত স্ত্রীর ভাই, বোনদের কাছে পাচার করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও নগদ টাকা রয়েছে তার। কৌশলগত কারণে এই সম্পদ ও নগদ টাকা তিনি আত্মীয়-স্বজনদের নামে এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখেছেন।”
১৯৯১ সালে দ্বাদশ বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন ফারুক। ঠাকুরগাঁও ও ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির দায়িত্ব পান। ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর ডিএমপির ৩৫তম কমিশনার হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান।
রোববার বিদেশে যাওয়ার সময় তাকে আটকে দেয় শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
পুরনো খবর