অস্ত্র মামলায় ঢাকার আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুবাইয়ে অবস্থানরত বিতর্কিত সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনা ‘অসম্ভব নয়’ বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার ঢাকার মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই, বাংলাদেশ সবই পারে।”
রাজধানীতে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছেন। সেখানে একটি সোনার দোকান উদ্বোধন করার খবরে তিনি মাস দুয়েক আগে আলোচনায় আসেন।
মঙ্গলবার আট বছর আগে দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় ঢাকার ১৪ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আরাভকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।
রবিউল ওরফে পলাতক আরাভের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ ইন্টারপোলের সহায়তা চায়।
সম্প্রতি দুবাইয়ে আরাভ খান ঘটা করে তার সোনার দোকান উদ্বোধন করলে পুলিশ জানায়, আরাভই দেশে রবিউল নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। ভারতীয় পাসপোর্টধারী হওয়ায় তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জটিলতা নিয়েও আলোচনা হয়।
অস্ত্র মামলায় রায়ের পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাভকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বললেন।
এদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে কামাল জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, ওয়ারেন্ট রয়েছে, তাদেরকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করছে।
অন্যায়কারীদের কখনই প্রশ্রয় দেওয়া হয় না উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের পুলিশ খুঁজে বের করে থাকে এবং এটা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম।
এদিকে রেড নোটিস জারির পর আরাভকে সেখানকার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বলে আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন। তবে আরাভ ছাড়া পেয়েছেন এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ফেইসবুক লাইভে এসে আরাভ বলেন, “যখন ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে, আমাকে উনারা ফোন করেন। আমাকে বলে, ‘আপনার নামে একটা ফাইল এসেছে, আপনি আসুন। আপনাকে অ্যারেস্ট করব। তো অ্যারেস্ট করার থেকে আপনার আসা সর্বোত্তম।’
“আমি দেখলাম- আমি যদি পালিয়ে বেড়াই, তাহলে আমাকে তো অ্যারেস্ট করবে। আমাকে ইন্টারপোলে নিয়ে গেল। ইন্টারপোলে রাখল, এক মাস ৭ দিন। আমার জীবন থেকে এক মাস ৭ দিন চলে গেছে ইন্টারপোলের জেলে। ইন্টারপোলে আমি বড় বড় আসামিদের সাথে জেল খেটেছি।"
তবে ওই সময় বাংলাদেশে পুলিশের কাছে তার গ্রেপ্তারের কোনো তথ্য নেই বলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।