“আমাদের আর্মি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে,” বলেন তিনি।
Published : 07 Jan 2025, 12:16 AM
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত নতুন তদন্ত কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান মনে করছেন, ২০০৯ সালের ওই সময়ে বিডিআরে কোনো বিদ্রোহ হয়নি; ওটা ছিল সেনা কর্মকর্তাদের ‘হত্যার একটি ষড়যন্ত্র’।
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদরদপ্তরে দুই দিন ধরে সংঘটিত ওই ঘটনাকে ‘পলাশীর যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি’ হিসেবেও বর্ণনা করেন বিডিআরের সাবেক এই মহাপরিচালক; যাকে সপ্তাহ দুয়েক আগে তদন্ত কমিশনের প্রধান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার রাজধানীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে এক আলোচনায় তিনি বলেন, “আমাদের আর্মি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে।”
ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশ-বিদেশে আলোড়ন তৈরি করা ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ওই ঘটনায় পুনঃতদন্তের জোরালো দাবির মধ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর সাত সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
তিন মাসের জন্য সময়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে। এখনও ঠিকমত তদন্তের কাজ শুরু করতে পারেনি কমিশন; দপ্তর ও যানবাহনও বরাদ্দ হয়নি।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কমপ্লেক্সে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন কমিশনের প্রধান ফজলুর রহমান; যিনি ২০০০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত বিজিবির প্রধান ছিলেন।
২০০১ সালের এপ্রিলে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির সংঘাতের ঘটনার পর ওই বছর ১১ জুলাই বিজিবি মহাপরিচালক থেকে সরিয়ে তাকে সেনাবাহিনীতে ফেরত নেওয়া হয়। এরপর বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ২০০২ সালের ১৭ মার্চ তাকে আগাম অবসরে পাঠানো হয়।
মতবিনিময় সভায় সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়ার প্রতিনিধি, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নিহত কর্মকর্তাদের স্বজন, পিলখানা থেকে বেঁচে ফেরা কর্মকর্তা ও সেই সময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে অনেকেই প্রথমে কথা বলেন। তারপর তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, “ইট ওয়াজ নট আ মিউটিনি। ইট ওয়াজ আ কন্সপিরেসি কিলিং দ্যা অফিসার্স। এর দ্বারা বিডিআরকে দুর্বল করা হয়েছে, তার নাম বদল করে দেওয়া হয়েছে। আর্মিকে দুর্বল করা হয়েছে, দেশকে দুর্বল করা হয়েছে।
“এখানে অনেকে বলেছেন, ভারত জড়িত। আমাদের মধ্যে অনেকের মতামত থাকতে পারে। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আমি একটা কথা বলতে চাই। শুধু ভারত জড়িত বললে হবে না, অমুক জেনারেল জড়িত বললে হবে না। তার স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে হবে। যত ছোটই হোক বা বড় হোক, গুরুত্বপূর্ণ নাই হোক- আপনারা প্রমাণ দেন। এটার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।“
রাতে কমিশন প্রধান অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা খুব শিগগির একটি ওয়েবসাইট খুলব, যেখানে দালিলিক প্রমান তথ্য উপাত্ত চাইব। এরই মধ্যে বিভিন্নভাবে অনেক সাড়া পাওয়া গেছে। আমরা গোপন করব না।”
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরকে আইনে করা একটি মামলা এখনও চলমান থাকার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান, তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত কমিশন কী করতে পারে সে বিষয়টি নিয়েও আমরা কথা বলব।“
পদুয়া-রৌমারী যুদ্ধে তিনি কমান্ডার থাকাবস্থায় ‘ভারত পরাজিত’ দাবি করে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি মনে করি তখন থেকে বিডিআর বিদ্রোহের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।”
অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হত্যাযজ্ঞের পর এ নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে সরব হতে দেখা যায়। শেখ হাসিনার সরকারের ওই সময়ে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে তাকে অংশ নিতে দেখা যেত তাকে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় সদরদপ্তরে বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে উপস্থিত থাকার স্মৃতিচারণ করে কমিশন প্রধান ফজলুর বলেন, “এই যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গেল সেদিন বিডিআর’র প্যারেডে দাওয়াতে আমি উপস্থিত ছিলাম (সাবেক) ডিজি হিসাবে। পাদুয়া-রৌমারীর যুদ্ধের পরে বিডিআরে গেলে গেটে থাকা সদস্যরা গাড়িতে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যেন গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলবে। কিন্তু সেদিন কেউ এল না, সব ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। গিয়ে দেখলাম উত্তরের গ্যালারিতে যেখানে হাজার দুয়েকের মতো সৈনিক বসে, সেখানে বসেছে মাত্র একশ বা দুইশ।
”ওদিন ছিল লাঞ্চের পরে এক্স ডিজিরা ভিভিআইপি রুমে থাকবেন। বিকেলে চা খেয়ে ফিরে আসবেন। তবে আমি তখনই ফিরে এসে আমার স্ত্রীকে বললাম আমার সেখানে ভালো লাগল না। কেমন যেন আমার মনে হচ্ছে। যাই হোক পরে তো এই ঘটনা ঘটল।”
এ ঘটনায় তাকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তুলে ধরার বর্ণনা দিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, “পাঁচ তারিখে সৌরভ শুক্লা নামের ভারতের এক ব্যক্তি ইন্ডিয়া টুডেতে লিখল পাকিস্তানের আইএসআই সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর মাধ্যমে জেনারেল ফজলুর রহমানকে ৪০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এবং আমি সেই টাকা ৪০০ বিডিআর সদস্যদের মাঝে বিতরণ করেছি। প্রায় একশর মতো ডিএডি এবং জেসিওকে আমি এক কোটি করে টাকা দিয়েছি। সেটা জনকণ্ঠে পাবলিশ হল, সিএনএফ এ পাবলিশ হলো।
”শেখ হাসিনা আর তোফায়েল এটা নিয়ে পার্লামেন্টে কথা বললেন। শেখ হাসিনা সেই পেপারটা হাতে সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন জেনারেল ফজলুর রহমান আমাকে খুন করতে চেয়েছিলেন। আমি সেই ব্যক্তি ।আমার জীবনের ওপরও আঘাত এসেছিল।”
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: তদন্ত কমিশন তিন মাস সময় পাবে
কমিশনপ্রধান বলেন, “ষড়যন্ত্র যাই হোক, মনে করেন এটার সঙ্গে ওই সময়কার সরকার জড়িত, ভারত জড়িত, ওখানকার কিছু ষড়যন্ত্রকারী, বাংলাদেশের কিছু রাজনীতিবিদ জড়িত। সব আমি বুঝলাম জড়িত। কিন্তু সেদিন যদি সেনাবাহিনী সেখানে যেত তাহলে কী হত্যাকাণ্ড হত? এই হত্যাকাণ্ড হত না।
“পলাশীর পুনরাবৃত্তি হয়েছে সেখানে। আমরা পড়েছিলাম ১৭৫৭ সালে পলাশীর মাঠে কী করে সৈন্যরা দাঁড়িয়েছিল আর লর্ড ক্লাইভের বাহিনী এসে আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তার চেয়েও জঘন্য, হৃদয় বিদারক ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে ২০০৯ সালে।”
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ”আমাদের আর্মি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে। আমি মনে করি না এটা বিডিআর বিদ্রোহ ছিল। আমি মনে করি না যে, কোনো দাবি আদায়ের জন্য সৈনিকরা নির্মমভাবে আমাদের অফিসারদেরকে নিহত করতে পারে। আমরা জানবার চেষ্টা করছি, কে কখন বিডিআরে ওই সময় পোস্টিং হয়েছিল। একজন অফিসার সাত দিন আগে, ১০ দিন আগে, এক মাস আগে সেখানে পোস্টিং পেয়ে গিয়ে কী এমন অপরাধ করতে পারে যে তাকে মেরে ফেলতে হবে।”
দেড় দশক আগের এ ঘটনার আগের তদন্ত প্রতিবেদনগুলো চেয়ে পাঠানোর কথা তুলে ধরে বিডিআরের সাবেক এই ডিজি বলেন, “এটা একটা বিশাল তদন্তের বিষয়। আমাদের যতদূর যাওয়া প্রয়োজন আমি যাব। জেনারেল জাহাঙ্গীর একটা তদন্ত করেছেন, আনিসুজ্জামান নামের একজিন সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত হয়েছিল। আমরা সেগুলো রিকল করেছি। সেগুলো আমরা পড়ব। আমরা যদি সব সৈনিককে নিয়ে আসতে চাই এটা ছয় বছরেও শেষ হবে না।“
কেউ তদন্তের বাইরে থাকবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পদুয়ার রৌমারী যুদ্ধে আমি ছিলাম কমান্ডার। যেখানে ভারত পরাজিত হয়। আমার সাড়ে চার বছর চাকরি থাকা অবস্থায় চাকরিচ্যুত করা হয়। কোন সরকার করেছিল সেটা আমি বলতে চাই না।
“আমাদের দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে। পাদুয়া-রৌমারী যুদ্ধে ভারতকে হারানোর জন্য যে সরকার আমাকে চাকরিচ্যুত করেছিল সে আওয়ামী লীগ সরকার নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে পদচ্যুত করেছিল। আমি ডিজি বিডিআর ছিলাম, আমাকে ইলেভেন ডিভিশনের জিওসি করা হয়েছিল। তারপরই আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। কাজেই তদন্তের বাইরে কেউ থাকবে না।”
কমিশনপ্রধান বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছি। এখনো আমরা অফিস পাইনি। আগামীকাল খুব সম্ভব আমরা বিজিবি হেডকোয়ার্টারে অফিস করব। ডিজি বিজিবি একটা গাড়ি দিয়েছেন। সেখান থেকে যদি তার সাক্ষাতের জন্য যেতে পারি খুব ভাগ্যবান মনে করব। সেখান থেকে অফিস পরিদর্শন করব। পরশু থেকে যেন কাজ শুরু করতে পারি। এরপর আমরা সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাত করব।
“আপনারা ধৈর্য ধরেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়টাকে আমরা দুই মাসের মধ্যে শেষ করব। আমরা একটা মাস হাতে রাখব। বিশেষ করে আমরা যাকে সন্দেহ করছি সেই শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। আমরা চেষ্টা করব ফরেন মিনিস্ট্রির মাধ্যমে কিংবা ডিরেক্টলি ভারতের হাই কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা তাকে এক্সট্রাডাইট করার কথা বলব অথবা আমাদের টিম সেখানে গিয়ে তার ইন্টারভিউ নেবে।“
তদন্ত কাজে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ”আমরা এমন রেকমেন্ডেশন করতে চাই, যেন বাংলাদেশে কোনদিন এই ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।”
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া একজনের বক্তব্যের জবাবে কমিশনপ্রধান বলেন, “তদন্ত কমিশনের লেজিটিমিসি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলেছেন আমাদের এক সন্তান। দেখেন এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না এই কারণে যে এটা জাতীয় দাবির প্রেক্ষিতে একটা বিপ্লবী সরকার এই তদন্ত কমিশনের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি গেজেট হয়েছে।
“যে সরকার এ হত্যাযজ্ঞের পেছনে বলে আমরা সন্দেহ করি, জাতি সন্দেহ করে সেই সরকার ৫ অগাস্ট এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। তারপরেই এই কমিশন গঠিত হয়েছে। কাজেই আমি সবাইকেই অনুরোধ করব আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য।
“দ্বিতীয়ত, আমরা আমাদের সিকিউরিটির কথা বলেছি। এই কমিশনের গুরুত্ব আমরা বুঝি। শুধু আমরা নিজেদের সিকিউরিটি চেয়েছি তা নয়, আমাদের পারিবারিক সদস্যদের সিকিউরিটিও চেয়েছি। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এর আগে আমাদের কখনো আলাপ হয়নি। কাজেই তাদের চাহিদা সম্পর্কে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জেনেছি তারা কী চান। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো ধারণা ছিল না বলে আমি তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করিনি।
“তৃতীয়ত এই কমিশনের সদস্যদের সম্পর্কে আপনাদের যে মতামত, আমি একটা বিষয় ক্লিয়ার করি আমি কোনো সদস্যকে পছন্দ করিনি বা মতামত দেইনি। সরকারই তাদের পছন্দ করেছি।”
আরেকজনের মন্তব্যের জেরে ফজলুর রহমান বলেন, “মেজর মুহসিনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে নিউজ টোয়েন্টিফোরে। আমি শুধু একটি কথাই বলব তিনি যে কোম্পানিতে চাকরি করেন সেই কোম্পানির মালিক ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে তিনটি মার্ডার কেইস আছে। তাকে ভূমিদস্যু হিসেবে মানুষ জানে। শেখ হাসিনার সেই সভায় বসুন্ধরার মালিক বলেছিলেন, তিনি ইহ জনমে ও পরকালে তার (হাসিনার) সঙ্গে থাকতে চান। আমি মেজর মুহসিনকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনি কী রিজাইন করেছেন সেই প্রতিষ্ঠান থেকে। প্লিজ ডোন্ট ক্রিয়েট কন্ট্রোভার্সি ।
“অনেকে জেনারেল মইনুলকে নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বিদেশে যাচ্ছিলেন। তার বিদেশে যাওয়া আমরা বন্ধ করেছি। গতকাল তিনি আমাকে টেলিফোন করেছিলেন, এর আগেও করেছিলেন।”
তিনি বলেন, “এটা এমন একটা তদন্ত কমিশন যেটা ১৬ বছরে এসে করা হল। যখন এর এভিডেন্স অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সময় দেওয়া হবে তিন মাস। আমি চাইব তিন মাসের মধ্যেই যেন তদন্ত শেষ হয়ে যায়। সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন সময় বাড়াব।
“এর দুইটা অংশ আছে একটা অভ্যন্তরীণ আরেকটা হচ্ছে বহির্দেশীয়। আমাদের যে টার্মস অব রেফারেন্স দেওয়া আছে তাতে দুইটা বিষয়ই তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তবে একটা বিষয় তদন্ত করতে বলা হয়নি, যেই মামলাগুলো চলছে অর্থাৎ বিচারাধীন বিষয়গুলোতে। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে লিখেছি আমরা ওই বিষয়গুলোও তদন্ত করতে চাই। যেমন একটা লোক বিস্ফোরক মামলায় ১৪ বছর ধরে বিনা বিচারে জেল খাটছে।”
কমিশন প্রধান বলেন, “আমি এটাও চিন্তা করে দেখেছি হায়দার হোসেনের যে গানটা ‘কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত’ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংগীত হিসেবে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি যেন বিডিআরের সব জায়গায় গাওয়া হয়, সেই সুপারিশও করা হবে। উজ্জীবন সঙ্গীত।”