Published : 12 Jun 2024, 01:11 PM
একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ঢাকার রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ।
বুধবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস ঈদ জামাতের সময়সূচি ও প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছিলেন।
তাপস বলেন, “আমি যতটুকু জেনেছি ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মাধ্যমে তারা জানিয়েছে। তবে প্রধান জামাতের সময় নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে ঈদের আগের দিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সেই সময় যথাসময়ে জানিয়ে দেবে। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ এই জামাতে অংশ নেবেন।”
রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ জামাতে নামাজ পড়বেন ১৭ জুন ঈদের সকালে। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।
জামাতের জন্য পুরো ঈদগাহজুড়ে প্যান্ডেল টানানো হয়েছে। এখন সিলিং ফ্যান, লাইট ও মাইক লাগানো এবং মাঠের পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। এই কাজ চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে।
তাপস বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি কাজ পুরোদমে চলছে। ১৭ তারিখ যেহেতু ঈদ হবে। ১৬ তারিখের মধ্যেই আমাদের সকল কাজ শেষ হবে ইনশাল্লাহ।”
ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, “গতবছরও ভারি ও মুষলধারার বৃষ্টিপাতে মধ্যে আমাদের এখানে জামাত হয়েছে। কিন্তু ঢাকাবাসীকে আমার স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পেরেছি, কোনো রকমের অসুবিধা হয়নি। গতবছরের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে আমরা আশা করছি যে, এবারো এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে করে মুসল্লিদের কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়। কোনো জলাবদ্ধতা ও পানির বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না, ভালোভাবে যেন তারা বাসায় ফিরতে পারেন।”
সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তাপস বলেন, “আমরা আশা করছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি গতবারের ন্যায় এবারও ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকাবাসীকে আমি ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ‘ঈদ মোবারক’, ঢাকাবাসীকে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
নিরাপত্তা
রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে অংশ নিয়ে থাকেন। সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে আলাদাভাবে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স- এসএসএফ এবং ভিভিআইপির নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঈদগাহে মূল প্রবেশ পথ থাকবে চারটি। জামাত শেষে বের হওয়ার জন্য উত্তরের দিকে আরও তিনটি গেইট খোলা থাকবে।
এছাড়া নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ করা হয়েছে।