অভিযানে ২০১৭ সালের ‘কয়েকটি লটের’ পাঠ্যবই ছাপায় কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
Published : 09 Feb 2025, 08:56 PM
আওয়ামী লীগ শাসনামলে পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযানে ২০১৭ সালের ‘কয়েকটি লটের’ পাঠ্যবই ছাপায় কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
রোববার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান দলে থাকা দুদকের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) রোকনুজ্জামান রোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৭ সালে কিছু লটের বই ছাপানোর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানের দর প্রস্তাবকে বিধি-বহির্ভূতভাবে বাতিল করে উচ্চমূল্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল- এমন তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তখন বর্তমান চেয়ারম্যান বা সচিব এনসিটিবিতে কর্মরত ছিলেন না। তাই আমরা কিছু নথি চেয়েছি।
“এছাড়া ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন লটে বই মুদ্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে টেন্ডার আহ্বান, টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী প্রকাশনাগুলোর তথ্য, টেন্ডার মূল্যায়ন ও কার্যাদেশ প্রদানসহ প্রত্যেক বছরের বই মুদ্রণ সংক্রান্ত পরামর্শক, কাগজ ক্রয় ও মুদ্রণ তদারকি কমিটি সংক্রান্ত সব তথ্য চাওয়া হয়েছে এনসিটিবির কাছে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”
দুদকের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই মুদ্রণে ২৬টি লটের দরপত্রে অংশ নিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার টারা টিপিএসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেগাটেক জিএনবিডি ঢাকা। কিন্তু পরে তারা এক অভিযোগে দাবি করেছিল, সর্বনিম্ন দরদাতা হলেও ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল’ তাদের টেন্ডারে অযোগ্য প্রমাণ করে চক্রান্ত করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির সচিব শাহ্ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
রাতে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন একটি মিটিংয়ে আছি। আগামীকাল অফিসে আসেন তখন এ বিষয়ে কথা বলব।”