চক্রটি দুদকের কমিশনার, মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালকদের নামে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে টাকা আদায় করত।
Published : 17 Aug 2023, 05:56 PM
দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
তারা হলেন, মো. সেলিম ওরফে তানভীর ইসলাম ওরফে শফিকুলর রহমান(৩৯), মো. সোহাগ পাটোয়ারী(৩৮), আব্দুল হাই সোহাগ (৩৮) ও মো. আজমীর হোসেন(৩৭)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, দুদকের নামে ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৩ অগাস্ট রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
পরে গোয়েন্দা পুলিশ ১৪ অগাস্ট রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেলিম এক সময় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। এরপর নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি আর সোহাগ পাটোয়ারী ডিজে পার্টিতে কাজ করতেন। এই কাজ করতে গিয়ে দালালদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে।
পুলিশ কর্মকর্তা নুরুন্নবী বলেন, “সোহাগ দুদকের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে গঠিত অভিযোগ, অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি সংক্রান্ত চিঠি ‘ডাউনলোড’ করে সেইসব ব্যক্তিদের নামে দুর্নীতির অভিযোগে চিঠি তৈরি করে সেলিমকে পাঠাত।
“সেলিম তার অপর দুই সহযোগী আব্দুল হাই ও আজমীরের মাধ্যমে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারি, হিসাবরক্ষক ও সার্ভেয়ারদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে দুদকের কমিশনার, মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালকদের নামে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে টাকা আদায় করত।”
তিনি বলেন, “এসব কাজে তারা ৮০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নিত। এক্ষেত্রে তারা দুদক কার্যালয়ের সামনে অথবা সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির নাট্যমঞ্চ এলাকার আশপাশে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের আসতে বলে নগদ অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিত।”
গ্রেপ্তারদের বুধবার আদালতে পাঠিয়ে তিনদিন রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।