এর আগে চিন্তার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কম্পিউটারের মাউস নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন নিউরালিংক রোগী নোল্যান্ড আরবাঘ।
Published : 22 Mar 2024, 10:42 AM
ইলন মাস্ক মালিকানাধীন কোম্পানি নিউরালিংকের দাবি, তাদের ব্রেইন চিপ বসানো প্রথম রোগী নোল্যান্ড আরবাঘ সফলভাবে অনলাইনে দাবা খেলার সক্ষমতা অর্জন করেছেন।
এর আগে ভাবনা দিয়েই প্রথমবারের মতো কম্পিউটারের মাউস নিয়ন্ত্রণের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ৯ মিনিট দীর্ঘ এক ভিডিও’তে দেখা গেছে, অনলাইনে দাবা খেলতে তিনি একটি মাউসের কার্সর ব্যবহার করছেন।
— Neuralink (@neuralink) March 20, 2024
এক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন নোল্যান্ড আরবাঘ। পরবর্তীতে তার কাঁধের নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায় ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজের মস্তিষ্কে নিউরালিংকের চিপ বসানোর সুযোগ পান তিনি।
নিউরালিংকের লক্ষ্য, বিভিন্ন জটিল স্নায়বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়ক হিসেবে কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের সংযোগ ঘটানো।
“অস্ত্রোপচারটি খুবই সহজ ছিল,” ব্রেইন চিপের প্রেজেন্টেশনে বলেন আরবাঘ।
আরবাঘ আরও বলেন, এর আগে ভিডিও গেইম ‘সিভিলাইজেশন ৬’ খেলতে ব্রেইন ইমপ্লান্ট ব্যবহার করেছিলেন তিনি। আর নিউরালিংক তাকে ‘আবারও গেইমটি খেলার সক্ষমতা দিয়েছে ও তিনি টানা আট ঘণ্টা গেইমটি খেলেছেন।
তবে, আরবাঘ এ’ও বলেন, নিউরালিংকের এ নতুন ব্রেইন প্রযুক্তি নিখুঁত ছিল না। আর কোম্পানি এই প্রযুক্তি চালাতে গিয়ে ‘বেশ কিছু সমস্যায় পড়েছিল’।
নিউরালিংকের ডিভাইসটি আকারে প্রায় এক পাউন্ড মুদ্রার সমান। একে মূলত মাথার খুলিতে ঢোকানো হয় যাতে ডিভাইসের সঙ্গে মাইক্রোস্কোপিক তার যোগ করে মস্তিষ্কের নিউরনের কার্যকলাপ পড়া যায় ও ডিভাইসের রিসিভিং ইউনিটে বেতার সংকেত পাঠানো যায়।
ডিভাইসটির কার্যকারিতা পরখ করতে শূকরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে নিউরালিংক। কোম্পানিটির দাবি, এ ব্রেইন চিপ প্রতিস্থাপন করে বানরকে দিয়ে ভিডিও গেইম ‘পং’-এর একটি মৌলিক সংস্করণ খেলানোও সম্ভব হয়েছিল।
২০২৩ সালের মে মাসে নিউরালিংককে মানুষের উপর চিপ পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিল মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’।