ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আইপিও নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর নিলামে অংশ নেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
Published : 22 Oct 2020, 12:57 AM
কারও ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বুধবার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারের দাম নির্ভর করে আইপিও নিলামের যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাঁকানো দামের উপর।
নিলামের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতের দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের শেয়ারের দাম হয় ৩১৫ টাকা। এর ফলে পরে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম (২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩) শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন।
ওয়ালটন সদ্য বাজারে ঢুকে এক পর্যায়ে বাজার মূলধনে সবাইকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠেছিল। ওয়ালটনের ১ শতাংশেরও কম শেয়ার বাজারে ছাড়া হয়েছে, ৯৯ শতাংশের বেশি শেয়ার উদ্যোক্তাদের হাতে রয়ে গেছে।
অথচ শীর্ষ মূলধনী কোম্পানি গ্রামীণফোনের ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে আছে।
ওয়ালটন এত কম শেয়ার ছেড়ে কীভাবে বাজারে আসার অনুমোদন পেল সম্প্রতি বিএসইসিরই সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রশ্ন তুলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেছিলেন, “এর ফলে যেটা হয়েছে, ওয়ালটন হঠাৎ করে পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার মূলধনের কোম্পানি হয়ে গেছে। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। কিন্তু এটা কিন্তু একটা ভুল বার্তা দিচ্ছে।”
ফলে ওয়ালটনের আইপিওর নিলামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অযৌক্তিকভাবে দাম হাঁকিয়েছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন তাদের দরপ্রস্তাব নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি বলেছে, ওয়ালটনসহ পরবর্তী অন্য সব প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) নিলামে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ‘কমিশনের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করেছে কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
“ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাস্তির মাত্রা অপরাধের উপর নির্ভর করে ঠিক করা হবে।