ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোল হলো একের পর এক। হলো আত্মঘাতী গোলও। ম্যানচেস্টার সিটি পুরোটা সময় এগিয়ে রইলো বটে, তবে ক্রিস্টোফার এনকুকুর হ্যাটট্রিকে লড়াইয়ে ছিল লাইপজিগও। অবশেষে শেষ ১৫ মিনিটে আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
Published : 16 Sep 2021, 03:17 AM
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে গোল উৎসবের ম্যাচটি ৬-৩ ব্যবধানে জিতেছে সিটি। তাদের পক্ষে একটি করে গোল করেন নাথান আকে, নঁদি মিকিয়েলে, রিয়াদ মাহরেজ, জ্যাক গ্রিলিশ, জোয়াও কানসেলো ও গাব্রিয়েল জেসুস।
বল দখলে দুই দলই সমানে-সমান। তবে আক্রমণে অনেক এগিয়ে সিটি। গোলের উদ্দেশে তাদের নেওয়া মোট ১৬ শটের আটটি ছিল লক্ষ্যে। আর লাইপজিগের ১০ শটের মাত্র তিনটি লক্ষ্যে এবং প্রতিটিই গোল।
২৮তম মিনিটে সফরকারীদের মিকিয়েলের অমার্জনীয় ভুলে ব্যবধান বাড়ে। কেভিন ডে ব্রুইনের ডান দিক থেকে গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে কোনো হুমকি ছিল না। কিন্তু নিচু হয়ে হেডে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান ফরাসি এই ডিফেন্ডার।
৪২তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় লাইপজিগ। সতীর্থের ছোট্ট করে বাড়ানো হেডে এনকুকু হেডেই বল জালে জড়ান। যদিও তাদের সে স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আবারও ব্যবধান কমায় লাইপজিগ। দানি ওলমোর ক্রসে এবারও হেডেই স্কোরলাইন ৩-২ করেন ফরাসি মিডফিল্ডার এনকুকু। এবারও পাঁচ মিনিট পরই আবারও দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
৭৩তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে কোনাকুনি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এনকুকু। লাইপজিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। আর এই প্রতিযোগিতায় ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে করলেন মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রথমটি করেছিলেন ওই সময়ে বার্সেলোনায় খেলা লিওনেল মেসি।
তিন মিনিট পরই জোয়াও কানসেলো স্কোরলাইন ৫-৩ করেন। আর ৮৫তম মিনিটে কাছ থেকে জোরালো শটে লাইপজিগের জালে শেষ বল পাঠান খানিক আগেই বদলি নামা জেসুস।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে তারকাসমৃদ্ধ দল পিএসজিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজ।