প্রতিপক্ষের মাঠে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ১-১ ড্র করেছে পিএসজি। দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। এররেরা পিএসজিকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্রুজকে সমতায় ফেরান হান্স ফানাকেন।
সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডদের তিন জনকে নিয়ে সাজানো পিএসজির আক্রমণভাগ পারেনি আগ্রাসী ফুটবল খেলতে। প্রতিপক্ষের বক্সে ও বক্সের বাইরে ভুগতে দেখা গেছে নেইমার, এমবাপে ও মেসিকে।
বলের নিয়ন্ত্রণে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য করে ব্রুজ।
প্রথমার্ধে চার শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখা সফরকারীরা এগিয়ে যায় পঞ্চদশ মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এমবাপে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে বক্সে কাটব্যাক করেন। নিখুঁত প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন এররেরা।
এ অর্ধে আট আক্রমণের চারটি লক্ষ্যে রাখা ব্রুজ সমতার উচ্ছ্বাসে মাতে ২৭তম মিনিটে। এদুয়ার্দ সোবোলের পাসে ফানাকেনের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
২৯তম মিনিটে মেসির শট ক্রসবারের উপরের দিকে লেগে বেরিয়ে যায়। এরপর বিরতির আগ পর্যন্ত পিএসজিকে রীতিমতো চেপে ধরে বেলজিয়ামের দলটি। ৩৩তম মিনিটে ফানাকেনের ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান নাভাস। ৩৯তম মিনিটে দে কেটলারার কোনাকুনি শট ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে আবারও পিএসজির ত্রাতা কোস্টারিকার এই গোলরক্ষক।
জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম ও লেয়ান্দ্রো পারেদেসকে তুলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইউলিয়ান ড্রাক্সলার ও দানিলোকে নামান পিএসজি কোচ পচেত্তিনো। কিন্তু লিগ ওয়ানের দলটির খেলায় ফেরেনি ছন্দ। বরং তাদের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে ব্রুজ।
এরপরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপে; বদলি নামেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দি। প্রথমার্ধে একবার প্রতিপক্ষের ট্যাকলে চোট পেলেও চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান এমবাপে। কিন্তু দ্বিতীয় আঘাতের পর আর পারেননি তিনি।
৮০তম মিনিটে সতীর্থের পাস পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন মেসি; কিন্তু বল উড়ে যায় বেশ বাইরে দিয়ে। বাকি সময়ে এক-দুইবার হানা দিয়েছিলেন রক্ষণে, কিন্তু পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষা নিতে।
শেষের বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ব্রুজের গ্যালারি। হোঁচট খেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতাটির ২০১৯-২০ মৌসুমের রানার্সআপ পিএসজি।
গ্রুপের অন্য ম্যাচ উপহার দিয়েছে ৯ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই। সেখানে জার্মানির দল লাইপজিগকে ৬-৩ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুভসূচনা করেছে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।