ঈশ্বরদীতে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, ৭ ঘণ্টা পর রেল চলাচল শুরু

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দেয়।

পাবনার ঈশ্বরদীতে পণ্যবাহী দুই ট্রেনের সংঘর্ষের পর সাত ঘণ্টা পর উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ এবং ঢাকার সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

পরে ভোর ৭টা নাগাদ সেগুলো উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানান পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, রাতে একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেনও ভারত থেকে ঢাকা যাবার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়।

এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেওয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

ডিআরএম শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে প্রাথমিকভাবে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টার।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা ট্রেন শান্টিংয়ের সময় আরেকটা ট্রেন ওই ট্রেনের পেটে ধাক্কা দিয়েছে। এতে ওই ট্রেনের দুটি ওয়াগন পড়ে গেছে। উদ্ধারকাজ শেষে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।"