“আপনারা ব্যক্তিগত ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের জন্য পাঠালে আমরা ভেরিফাই করে দেব,” বলেন তিনি।
Published : 09 May 2024, 10:41 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নামে ভুয়া পেইজ ও চ্যানেলের অপপ্রচার বন্ধে তাদের আসল পেইজ ও চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা ব্যক্তিগত ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের জন্য পাঠালে আমরা ভেরিফাই করে দেব। ফলে ফেইক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।”
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, “ফেইক ফেইসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে, ইউটিউব আইডি খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এটা বন্ধে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ কী?”
জবাবে পলক বলেন, “এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য, ফিশিং, মাস্কিং- এ ধরনের অপরাধ করা হচ্ছে। অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে অনেক প্রাণহানি হয়েছে, অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
“সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদদের নামে অপপ্রচার হয়। ছাত্রী, বোন, কন্যাদের অনেক ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে অথবা ইমেজ ফটোশপ করে অপপ্রচার, মানহানিকর কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যে জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী, কিশোরীর জীবন দিতে হচ্ছে। সেই জন্য সময়ের প্রয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে।”
তিনি বলেন, “ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর অফিস বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন নেই। এজন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করছি, যাতে করে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুমতি না নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে এবং অপব্যবহার করতে না পারে। অভিযোগ করলে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ব্যয় পৃথিবীর অন্যতম সস্তা। যার অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের। বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ এলাকা ফোর জি নেটওয়ার্ক আওতাধীন। দেশে এখন ১৯ কোটি সিম ব্যবহারকারী।”
সঞ্চয়পত্র বিক্রির কমিশন ডাক অধিদপ্তরের আয়ের বড় উৎস জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্তে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হতে সঞ্চয়পত্রের কমিশন ০.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৫ করা হয়েছে। ফলে ডাক বিভাগের আয় ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে আয় ছিল ১৩০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।”
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের লোকসান ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় ছিল ২০১ কোটি ৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৯৫৪ কোটি টাকা।”