"ইসরায়েল হুমকি হয়ে দাঁড়ালে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে বাধ্য হবে।”
Published : 09 May 2024, 10:52 PM
ইরানের অস্তিত্বে ইসরায়েল হুমকি হয়ে দাঁড়ালে তেহরান পারমাণবিক নীতি পরিবর্তন করে পরমাণু অস্ত্র বানাতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি।
বৃহস্পতিবার ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কে তিনি বলেন, “আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনও সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সামরিক মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় থাকবে না।”
খারাজির এমন কথার পর ইরান এতদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছে বলে যে দাবি করে এসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ, ইরান পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য প্রযুক্তি চায়।
দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি দীর্ঘদিনের বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। যে বিরোধের কারণে ইরানের এই কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের এক ঊর্ধ্বতন জেনারেল নিহত হওয়ার পর ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক দিকে মোড় নিয়েছিল। দুই দেশই নিজেদের মাটি থেকে সরাসরি একে অপরের ভূখন্ডে পাল্টাপাল্টি হামলা করে।
সে সময় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এও বলেছিলেন যে, ইসরায়েলের হুমকির কারণে ইরানকে পারমাণবিক মতবাদ পরিবর্তন করতে হতে পারে।
খামেনির উপদেষ্টা খারজি ২০২২ সালে বলেছিলেন,ইরান প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম। তবে বোমা তৈরি করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কথাই শেষ কথা। ২০০০ সালের শুরুর দিকে তিনি একটি ফতোয়া দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন নিষিদ্ধ করেছিলেন।
২০১৯ সালে খামেনি বলেছিলেন,পারমাণবিক বোমা তৈরি ও মজুদ করা ভুল। এ অস্ত্র ব্যবহার করাও হারাম। কিন্তু ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেন,পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আর এবার সর্বসাম্প্রতিক মন্তব্যে খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি বললেন, “ইহুদিবাদী রাষ্ট্র (ইসরায়েল) আমাদের পারমাণবি স্থাপণাগুলোতে হামলা করলে আমাদের নিরোধক ব্যবস্থাও পরিবর্তন হয়ে যাবে।