বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আটকের পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
Published : 05 Jul 2022, 05:03 PM
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন বলেন, “সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলামের বাসায় গোপন সভা করার সময় ১২ নেতাকে আটক করা হয়েছে।”
তারা হলেন- বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৭), সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল গাজী (৫০), ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মন্টু খান (৪৫), ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক কাইয়ুম খান (৩৮), যুবদল কর্মী এনায়েত হোসেন (৩২), জাফর খান (৩৩), সাইফুল ইসলাম (৩০), রেজাউল মোল্লা (৩৪), সামিউল বেপারী (৩০), ছাত্রদল কর্মী আকাশ খন্দকার (২৬), মুন্না আহম্মেদ (২৪) ও ইখতিয়ার তালুকদার (৩৬)।
তাদের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানার এসআই আব্দুল হক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় কয়েকজন কর্মী নিয়ে পরামর্শ করছিলাম।”
“রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন প্যাদার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমাকেসহ সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে আমাদের ১২ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।”
বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”