রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ডুবে যাওয়ার ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের জন্য মাত্র চারজন ডুবুরি রয়েছেন; যাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
Published : 04 Oct 2020, 03:58 PM
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলের নেতা মো. নুরুন্নবী বলেন, “রাজশাহী বিভাগে ডুবুরি দলে সদস্য রয়েছি আমরা মাত্র চারজন। অথচ আমাদের পুরো রাজশাহী বিভাগে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে হয়।
“অনেক সময় খুলনা ও রংপুরেও উদ্ধার অভিযানে যেতে হয়। বিশেষ করে লকডাউনের পর সবচেয়ে বেশি ডাক আসে। একেক দিনে দুই-তিনটা করেও ডাক আসে। তখন আমরা বিপদে পড়ে যাই। এমনও ঘটনা ঘটে একটা উদ্ধার কাজ শেষ না হতেই আরেকটা অভিযানে যেতে হয়।”
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফিন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, “প্রতিটি জেলায় ডুবুরি নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে তা বাস্তবায়িত হবে তা জানি না। উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব কোনো বোট নেই। বিজিবি ও নৌপুলিশের বোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।”
এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে একের পর এক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলেও নৌকায় কোনো নিরাপত্তা সামগ্রী রাখা হয় না।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও দুইজন নিখোঁজ হন। দুই দিন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার পর সমাপ্ত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
এর আগে গত মার্চ মাসে পদ্মায় বর-কনেসহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। তখন কনেসহ নয়জনের প্রাণ যায়। এসব নৌকায় কোনো নিরাপত্তা সামগ্রী ছিল না।