ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার্থীদের বহুনির্বাচনী প্রশ্নে উত্তরের নকল তৈরিতে জড়িত থাকার দায়ে পাঁচ মাদ্রাসা শিক্ষককের দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Published : 03 Feb 2020, 06:12 PM
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম (৪২), ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদ্রসার সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন (৩৮), তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক কবির হোসেন (৪০) ও সরাইল উপজেলার পানিস্বর মাদেনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী (৫০)।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার সাংবাদিকদের জানান, চলমান দাখিল পরীক্ষার সোমবার সকালে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদ্রাসা কেন্দ্রে কোরআন মাজিদ ও তাজিভিদ পরীক্ষা চলছিল।
“পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন মিলে এ পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখছিলেন।
“হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় নেওয়া হলে, প্রত্যেকে তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় পাঁচজনকেই দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।”
পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনের ১৯৮০ এর ধারা ৯ (ক) অনুযায়ী তাদের এ দন্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেন। সকালে দেশের সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বেকায়দায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। এসব ঠেকাতে নেওয়া হয় বেশ কিছু পদক্ষেপ।
এ পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমুল।