চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যার শিকার জাকিয়া সুলতানা রূপার মরদেহ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Published : 31 Aug 2017, 04:50 PM
রূপার মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি
‘চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয় মেয়েটিকে
চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’: চালক ও সুপারভাইজারের স্বীকারোক্তি
মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
“পরে তার ভাই হাফিজুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”
হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মরদেহ নিয়ে বিকাল ৪টার দিকে তারা বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে আসেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাশ নিয়ে তারা বাড়ি পৌঁছেছেন। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে রূপাকে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রূপার লাশ বাড়ি পৌঁছলে বিক্ষোভ করেন এলাকার শত শত নারী পুরুষ। তারা দ্রুত বিচার আইনে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
পরিবারের আবেদনে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসক খাঁন মো. নুরুল আমিন লাশ তোলার অনুমতি দেন।
টাঙ্গাইল আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রূপার ভাই হাফিজুর রহমান তার বোনের লাশ তোলার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারে বলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোনো আদেশ দেননি।
ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে গত ২৫ অগাস্ট রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাসের কর্মচারীরা রূপাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে যায়।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর পুলিশ।
কিন্তু পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।
গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর ময়মনসিংহে ফেরার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন ওই তরুণী।
এ ঘটনায় ওই বাসের চালক, সুপারভাইজার, সহকারীসহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তারা সবাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর রহমান, সুপারভাইজার সফর আলী এবং চালকের তিন সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।