চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’: চালক ও সুপারভাইজারের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় গ্রেপ্তার বাস চালক ও সুপারভাইজারও অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2017, 01:28 PM
Updated : 30 August 2017, 01:28 PM

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিনুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ও মো. শামছুল হক আলাদাভাবে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক কাইয়ুম খান চৌধুরী।

এরা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের ওই বাসের চালক ময়মনসিংহের মির্জাপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে হাবিব ও সুপারভাইজার একই এলাকার সুলতান আলীর ছেলে সফর আলী ওরফে গেদু। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়া একই বাসের আরেক হেলপার লিটন মিয়া ঘটনার সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এসআই কাইয়ুম বলেন, “ঘটনার দুইদিন পর ওই বাসে হেলপারি করতে গিয়ে লিটন বাসের স্টাফদের কাছে ঘটনা জানতে পেরেছিল বরে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।”

এরআগে মঙ্গলবার চালকের সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিগ্রহণ শেষে রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পাঁচজন মিলেই চলন্ত বাসে পাঁচ দিন আগে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

নিহত রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।

ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন রূপা। চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।

শনিবার লাশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন ও অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ।

গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।