লন্ডনে জমকালো আয়োজনে ব্রিটিশ বাংলাদেশি শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইউকেবিসিসিআই এর বিজনেস অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনর এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
Published : 10 Oct 2019, 07:25 PM
স্থানীয় সময় ৬ অক্টোবর সেন্ট্রাল লন্ডনের দ্য লন্ডন হিলটন পার্ক লেনে এক অনুষ্ঠানে ওই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্রিটেনের বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সফলতার স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারের আয়োজনে মোট ১২ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার লাভ করেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, পাইওনিয়্যার ইন্সুরেন্স ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী।
স্পেশাল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় বিলাতের প্রাচীনতম সাপ্তাহিক পত্রিকা জনমত এবং সংগঠনের চয়েস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় চ্যানেল এসকে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের জন্য ইয়াং অন্ট্রাপ্রেনর অব দ্য ইয়ার, ইন্সপারেশনাল বিজনেস লিডার অব দ্যা ইয়ার, রেস্টুরেন্ট অব দ্য ইয়ার, ফ্যামিলি বিজনেস অব দ্য ইয়ার, বিজনেস ওমেন অব দ্য ইয়ার, কন্ট্রিবিউশন টু দ্য ইন্ড্রাস্ট্রি, বেস্ট নিউ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “ব্রিটেনের বাংলাদেশিরা কেবল রেস্টুরেন্ট ব্যবসাতেই সাফল্য অর্জন করেননি, এদেশের আইটি খাত থেকে শুরু করে, আমদানি, রপ্তানি, চিকিৎসা, খুচরা বাজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন।”
সংগঠনের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সফল ব্যবসায়ীদের সাথে ব্রিটেনের সফল ব্যবসায়ীদের যোগসূত্র স্থাপনে কাজ করছে ইউকেবিসিসিআই।
আর এতে করে দুই দেশের সাথে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে তিনি মনে করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান জেইমস ক্লেবারলি বলেন, “ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। আজকের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সফল উদ্যোক্তারা প্রশংসার দাবিদার। ব্রেক্সিট পরবর্তী সরকারের পলিসি যেন ব্যবসায়ীদের আরো উৎসাহিত করে সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, রুশনারা আলী, পল স্কালি, লর্ড কারান বিলিমরিয়া, ইউকেবিসিসিআই ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রউফ জেপি, ফাইনান্স ডাইরেক্টর নাজমুল ইসলাম নুরু, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাফেয়ার্স ডাইরেক্টর, রহিমা মিয়াসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |