দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
Published : 03 Jun 2023, 05:25 PM
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা শেষ বিদায় জানাল চট্টগ্রাম-১০ আসনে দলের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আফছারুল আমীনকে।
শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কার্যালয়ে তার প্রথম জানাজা হয়; কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এতে অংশ নেওয়ার পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আফছারুল আমিনের মরদেহে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ চিফ হুইপ ও হুইপরা শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফছারুলের কফিনে শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে তার কফিন ঢেকে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
ক্যান্সারে চলে গেলেন চিকিৎসক-রাজনীতিক আফছারুল আমীন
আফছারুল আমীনের প্রয়াণ আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতি জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “আফছারুল আমীন একজন অজাতশত্রু মানুষ ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের দল বিশেষ করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
“আফছারুল আমীন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাগারে গেছেন, সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষা ক্ষেত্রে ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি অনেক কাজ করেছেন, যা থেকে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।”
শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিক মারা যান। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।
আফছারুল আমীনের এপিএস দেলোয়ার হোসেন জানান, শনিবার চট্টগ্রামে জানাজা শেষে তাকে দাফনের কথা রয়েছে।
পেশায় চিকিৎসক আফছারুল আমীন ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সেবা করে আলোচনায় আসেন। এরপর তিনি পান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব।
চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। কাজ করেছেন নৌ মন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হিসেবেও। সবশেষ তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন।