সাক্কুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে: ফখরুল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাক্কুর বিরুদ্ধে এই মামলা ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

“এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মহামান্য হাই কোর্ট তাকে জামিন প্রদান করেছেন। তারপরেও কীভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করা হল তা বোধগম্য নয়। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

সাক্কুর এই মামলা প্রত্যাহার করে মেয়র হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণের ‘আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার’ দাবি জানান ফখরুল।

জরুরি অবস্থার সময় কুমিল্লার বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ওই আদেশ দেয়। পাশাপাশি তার সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত মেয়র হন সাক্কু। তিনি শপথ নিলেই অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার কারণ দেখিয়ে সরকার তাকে বরখাস্ত করতে পারবে।

বিএনপি মহাসচিব তার বিবৃতিতে বলেন, “সরকার শুধুমাত্র ভিন্ন মতাবলম্বী হওয়ার কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মিথ্যা মামলায় বরখাস্ত করছে এবং নতুন করে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। সিলেট মহানগর, রাজশাহী মহানগর, খুলনা মহানগর ও গাজীপুর মহানগরগুলোর মেয়রদের মিথ্যা মামলায় বরখাস্ত করার মাধ্যমে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশনার পরও পুণরায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। জনাব সাক্কুকে একইভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।”

সাক্কুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা, সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ