সাক্কুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা, সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় কুমিল্লার মেয়র বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2017, 07:42 AM
Updated : 18 April 2017, 01:39 PM

এ মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি সাক্কুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। 

তবে এ মামলার অভিযোগ থেকে আদালত সাক্কুর স্ত্রী আফরোজা জেসমিনকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

সাক্কুকে গ্রেপ্তার এবং সম্পত্তি জব্দের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ৯ মে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন বিচারক।

দুদকের সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতা ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারী ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল হুদা গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাক্কু তার ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং এক কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

মামলার এজাহারে সাক্কুর স্ত্রী আফরোজা জেসমিনকে আসামি করা হলেও অভিযোগপত্রে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে দুদক।

গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত মেয়র হন বিএনপি নেতা সাক্কু। এর দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবারই গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাজ নির্বাচন ও নির্বাচিতের গেজেট করা। এখন শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেখবে।”

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর সাক্কুর শপথ ও দায়িত্ব নিতে বাধা থাকবে কি না জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হলে শপথ নিতে বাধা থাকবে না। সেক্ষেত্রে জামিন নিয়ে শপথ গ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ায় শপথ নেওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করার সুযোগ থাকবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের।

আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীর শপথ নেওয়ার বিধান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে শপথ নিতে না পারলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।