ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) একটি কর্মশালায় যোগ দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 17 Jan 2017, 10:01 PM
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতের অবদানের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
‘ধনী ও ক্ষমতাধরদের আলোচনা সভা’ নামে পরিচিত ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভার কার্যক্রম শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। সুইজারল্যান্ডের আল্পস অঞ্চলের রিসোর্ট শহর ডাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে বার্ষিক সভার মূল অধিবেশন শুরু হবে বুধবার। ‘রেসপনসিভ অ্যান্ড রেসপনসিবল লিডারশিপ’ শ্লোগান নিয়ে হচ্ছে এবারের বৈঠক।
মঙ্গলবার বার্ষিক সভার কার্যক্রম শুরুর পর ‘শেপিং এ নিউ ওয়াটার ইকোনমি’ শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপে উপস্থিতরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক খাতের অবদান প্রচুর। সরকারও এ খাতে কমপ্লায়েন্স রক্ষাসহ শ্রমিক অধিকার সুরক্ষিত ও কর্মপরিবেশ মানসম্পন্ন রাখতে প্রতিশ্রুতিশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।”
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যাদের অধিকাংশ নারী।
শেখ হাসিনা সরকারের গত আট বছরে দুই দফায় পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু স্টিয়ার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বর্তমানের ২৮ বিলিয়ন থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্জ্য পানি ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ‘২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ’র সঙ্গে আপনারা কী কী করছেন-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন ওয়াটার রিসোর্স ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের নামকরা ব্রান্ড ও রিটেইলারদের জোট বাংলাদেশের ৩ হাজার ৭৫০টি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছে। আন্তর্জাতিক মান রেখেই এসব কারখানা গ্লোবাল ব্রান্ডগুলোর জন্য কাজ করছে।
‘এলইইডি’ সনদ পাওয়া বিশ্বের সেরা দশটি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি কারখানা থাকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “কোনো কারখানা তৈরির সময়ই ইটিপি স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সবুজ কারখানা তৈরিতেও সরকার সহায়তা দিচ্ছে।
“তৈরি পোশাক খাতে শতভাগ বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থাপনা তৈরি এবং পানি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।”
বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্টের অবকাঠামো গড়ে তুলতে বড় ধরনের অর্থায়ন ও নীতি সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্বাভাবিক স্রোতধারা থেকে পানির চাহিদা মেটাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী খনন ও জলাশয় সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।