লিলুয়া বাতাসে জাবি বসন্ত

আগুনঝরা রোদ উঠেছে চারদিকে, গরম হাওয়ার ফাঁকে কোত্থেকে যেন শীতল হাওয়া এসে গায়ে লাগছে।

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

এই যে ঠান্ডা হাওয়া হঠাৎ আসছে তার নামই লিলুয়া বাতাস। লিলুয়া বাতাস আর রঙিন সব ফুলের উন্মাদনায় মুখরিত হয়ে আছে প্রিয় প্রাঙ্গণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৃতির এই লীলাখেলা একটু বেশিই দেখা যায় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

ঋতুর পালাবদলে প্রকৃতিতে দাপট দেখাচ্ছে বসন্ত। কড়া রোদ, হঠাৎ দমকা হাওয়া আর টকটকে রঙিন সব ফুলের চোখ ঝলসানো সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে আছে ক্যাম্পাস। চারদিকে হলুদ-লাল-সাদা রংয়ের ফুলে সবুজ পাতার দৃশ্য যেন চোখকে তৃপ্তি দিতেই বানিয়েছেন ঈশ্বর।

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

জাপানের জাতীয় ফুল ক্যাসিয়া রেনিজেরা, বাগান বিলাস, পলাশ আর মহুয়া ফুল যেন প্রতিযোগিতা করছে। হাজারও রকমের ফুল এই ক্যাম্পাসে, কে কত বেশি মোহ ছড়াতে পারে! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি রাস্তায় রাজত্ব করছে একেকটি ফুলগাছ। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, টারজান রোড, মীর মোশাররফ হোসেন হলের রাস্তা আর চৌরঙ্গী, কোথায় নেই তারা!

প্রতি বছরের মতো এবারও ফুটেছে বিদেশি ফুল ক্যাসিয়া রেনিজেরা। এ ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি যেন হয়ে উঠে অনন্য। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এবং মার্চ-এপ্রিলে ক্যাসিয়া ফোটে, বৈচিত্র্যময় ক্যাসিয়া রেনিজেরার পাতাশূন্য গাছে রঙিন স্নিগ্ধ ফুলগুলো যেন মন কাড়ে সবার।

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

ফুলের মোহে মোহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা বলেন, “ক্যাম্পাস সবসময়ই সুন্দর। বসন্তের এ সময়টাতে ফুলে ফুলে রঙিন হয়ে উঠে পুরো এলাকা। রোদেলা বাতাসে এ ফুলেল সৌন্দর্য নিজ চোখে দেখা সত্যি আনন্দের।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার মানুষ ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা নানা বয়সী শৌখিন দর্শনার্থীদের প্রায় প্রতিদিনই ভিড় জমে ক্যাম্পাসে। প্রকৃতির কাব্যিক এ রূপ উপভোগ করার টানে বারবার ছুটে আসেন তারা।

ছবি: পূর্ণ বসু তঞ্চঙ্গ্যা

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সোহাগ বলন, “সৌন্দর্যের রানি খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিরযৌবনা দেখেছি। বর্ষায় যেমন তার সতেজতা ও সবুজ রং আমাকে মুগ্ধ করে, বসন্তেরও এই ধূসর ও ক্লান্তিতে বাহারি ফুলের রং একইভাবে মুগ্ধ করে। তাই প্রতি বছরই এই ক্যাম্পাসে কয়েকবার ঘুরতে আসা হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, ফুল নিয়ে গবেষণা বাড়ালে হারিয়ে যাওয়া বা সংকটাপন্ন অনেক প্রজাতির ফুল রক্ষা করা যাবে, বাড়বে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য।

লেখক ও চিত্রগ্রাহক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

কিডজ পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা [email protected] সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!