করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ‘কালো ছত্রাকে’ আক্রান্ত হয়েছেন সন্দেহে এক নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Published : 28 Jul 2021, 09:01 PM
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন রোগী পাওয়া গেছে যাকে ব্ল্যাক ফাংগাসের সন্দেহজনক বলা হচ্ছে।”
ওই নারী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ছিলেন। সেরে উঠে বাড়ি যাওয়ার পর পুনরায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ফেরত আনা হয়।
ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানায়, গত ২৫ জুন তিনি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর ৩ জুলাই কোভিড-১৯ পজিটিভ হন। ১৫ জুলাই কোভিড সারলেও তার বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়।
ওই নারীর স্বামী পাঁচদিন আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই নারীর চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার ফাংগাল ইনফেকশন হয়েছে। মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত বলে ধারণা করছি।”
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারপর নিশ্চিত হওয়া যাবে ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত কি না?”
করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল কালো ছত্রাক বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হিসেবে পরিচিত ‘মিউকরমাইকোসিস’।
এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসে আক্রমণ করে। ডায়াবেটিস, এইডস বা ক্যান্সারে যারা আক্রান্ত, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দারুণভাবে দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে এ সংক্রমণ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এতে আক্রান্তদের মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের একপাশ ফুলে যওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা, চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া, ঝাপসা দেখা এবং এক সময় দৃষ্টি হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে নাকের পাশপাশে চামড়ায় কালচে দাগ দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশে গত জুন মাসে খুলনার এক ব্যক্তির কালো ছত্রাক সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সেরে উঠেছেন।