পাঁচ মাস আগে চট্টগ্রামের ষোলশহরে পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
Published : 28 Jul 2020, 05:20 PM
‘পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণে জড়িতরা উগ্র মৌলবাদে বিশ্বাসী’
পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণ: চট্টগ্রামে ৩ ‘জেএমবি’ গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মো. শাহেদ (২০) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মৌলভিপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি দল নব্য জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের ভাষ্য।
সোমবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং এর মোহসেন সিকদার বাড়ি এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানান।
তিনি বলেন, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় পুলিশ বক্সে যে দুই জঙ্গি বোমা রেখে এসেছিল, তাদের মধ্যে শাহেদ একজন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই বোমা বিস্ফোরণে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য, এক শিশু এবং দুই পথচারী আহত হন।
ওই ঘটনায় ট্রাফিক পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ ২৯ ফেব্রুয়ারি এক টুইটে জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন আইএস চট্টগ্রামের ওই হামলার ‘দায় স্বীকার’ করেছে।
এরপর ৩ মে নগরীর বাকলিয়া ডিসি রোডের একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোজিম ইউনিট।
তাদের সবার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়। চট্টগ্রামের বাকলিয়া ডিসি রোডের গণি কলোনির লতিফ ভবনের তৃতীয় তলায় সাইফুল্লাহর ভাড়া নেওয়া বাসায় তারা থাকতেন।
তাদের মধ্যে এমরান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অষ্টম সেমিস্টার, আবু ছালেহ বেসরকারি ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের টেক্সটাইল বিভাগের ছাত্র এবং সাইফুল্লাহ চকবাজার এলাকার নুরা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ফটোকপির দোকানের কর্মচারী।
এই তিনজন ছাড়াও ওই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকার কথা সে সময় জানিয়েছিল পুলিশ।
চকরিয়া থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তারের পর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাহেদ একটি প্যাকেটের ভেতরে চানাচুর ও মোটর ভাজা দিয়ে ঢেকে বোমাটি লোহাগাড়া থেকে নিয়ে আসে।
“তারপর তারা পাঁচজন এমরানের আপন নিবাসের বাসায় যায়। পরে কয়েক জায়গায় রেকি করে শাহেদ ও সাদেক মিলে বোমাটি পুলিশ বক্সে রেখে আসে।”