বয়স এখনও তেইশ হতে ঢের দেরি। এই ম্যাচটি ছিল ক্যারিয়ারের স্রেফ অষ্টম ওয়ানডে। আফিফ হোসেনের ব্যাটিং দেখে তা কে বলবে! অনেক লড়াইয়ের অভিজ্ঞ সৈনিক ও পরিণত এক যোদ্ধার মতোই ২২ গজে লড়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি নিজে অবশ্য বয়স আর অনভিজ্ঞতাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ। তার মতে, লড়াইয়ের ময়দানে সবাই সমান।
Published : 23 Feb 2022, 09:44 PM
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জয়ের পথে বুধবার যে ইনিংসটি খেলেন আফিফ, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংসগুলির ছোট্ট তালিকায় থাকবে তা নিশ্চিতভাবেই। ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি যেভাবে গড়ে তুলে কাজ শেষ করে ফেরেন তিনি, অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও গর্ব করতে পারে এমন খেললে।
তবে তিনি বা দলের কেউ তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার ভেদাভেদ করেন না বলেই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন আফিফ।
“আসলে আমরা ওভাবে কখনো চিন্তা করি না কে তরুণ, কে সিনিয়র...আমরা সবসময় দলের জন্য খেলি। আমরাও (তরুণরা) দলের সদস্য, দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করি।”
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে আফিফ এখন মোটামুটি নিয়মিত হলেও জায়গা পাকা করতে লড়ছেন ওয়ানডেতে। সবশেষ দুই সিরিজে টানা ৬ ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পান। গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাঠে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ দিকে নেমে ২২ বলে করেছিলেন অপরাজিত ২৭। পরের দুই ম্যাচে ভালো করতে পারেননি।
তবে জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে ইঙ্গিত দেন নিজের সামর্থ্য কিছুটা মেলে ধরার। প্রথম ম্যাচে সাতে নেমে করেন ৩৫ বলে ৪৫, শেষ ম্যাচে একই পজিশনে ১৭ বলে অপরাজিত ২৬। ব্যর্থ হন মাঝের ম্যাচটিতে।
পারফরম্যান্সে ছিল ভালো-মন্দের মিশেল। এই সিরিজ তার জন্য তাই একরকম পরীক্ষাও। প্রথম ম্যাচে দল দ্রুত এত উইকেট হারানোয় তার সামনে সুযোগ আসে নায়ক হওয়ার। আফিফ জানালেন, সুযোগটি কাজে লাগানোর তাড়না তার ভেতরে ছিল।
“দেশের জন্য ভালো খেলাটা সবসময়ই গর্বের ব্যাপার। চেষ্টা থাকে সবসময় ভালো করার। কোনো সময় হয়, কোনো সময় হয় না। আজকে যেহেতু বড় একটা সুযোগ ছিল, এরকম বড় সুযোগ সাধারণত পাওয়া যায় না। বড় সুযোগ পেয়েছি, এটা কাজে লাগাতে চেয়েছি।”