দেশের বাইরে আগের সিরিজ মোটেও ভালো কাটেনি। চার ইনিংসে একবারও যেতে পারেননি ৪০ পর্যন্ত। সে কারণেই হয়তো বাংলাদেশ সফরের আগে মোহাম্মদ ইউসুফের শরণাপন্ন হন আবিদ আলি। পাকিস্তানের ব্যাটিং গ্রেটের সঙ্গে কাজ করেন লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ)। চট্টগ্রাম টেস্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর আবিদ বললেন, তার এই পারফরম্যান্সের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার আত্মবিশ্বাস ও ইউসুফের সঙ্গে ওই সেশনগুলোর।
Published : 30 Nov 2021, 01:38 PM
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষ দ্বিতীয় টেস্টে অপরাজিত ২১৫ রানের ইনিংসের পর তার খারাপ কাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। দুই টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে করেন কেবল ৭৩ রান। সর্বোচ্চ ৩৪।
দেশে ফিরে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানের জোয়ারে পেছনে ফেলেন ওই বাজে সিরিজ। সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের হয়ে খেলেন ১৫৮, ৪১, ৮১, ১৬৪, ১২২ ও অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম টেস্টে উপহার দিলেন ১৩৩ ও ৯১ রানের চমৎকার দুই ইনিংস।
৮ উইকেটে ম্যাচ জয়ের পর মঙ্গলবার পিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় আবিদ জানান, বাংলাদেশ সফরের জন্য কী ছিল তার প্রস্তুতি।
“আমি যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছি, এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ঘরোয়া ক্রিকেটের। যেখানে আমি খেলে আসছিলাম। এরপর এনসিএতে যে মোহাম্মদ ইউসুফ ও উমর রশিদের সঙ্গে কাজ করেছি সেটার।”
“ঘরোয়া ক্রিকেটে যে পারফরম্যান্স ছিল, সেটার জন্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই বাংলাদেশে আসি। এখানে এসে শাহিদ আসলামের সঙ্গে অনুশীলন সেশন করেছি। এতে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এখানে বল নিচু হয়, তাই সেভাবেই খেলেছি। বল কাছে আসতে দিয়েছি। এতে সফলও হয়েছি। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করি, পরের ইনিংসে ৯১ রানে আউট হই।”
দল জেতায় মাত্র ৯ রানের জন্য জোড়া সেঞ্চুরি না পাওয়ার দুঃখ ভুলছেন আবিদ। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে আবার ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে আত্মবিশ্বাসী এই ওপেনার।
“এই পারফরম্যান্স, এই মোমেন্টাম আমি ঢাকায় নিয়ে যেতে চাই। পরের টেস্ট আমরা সেখানে খেলব। এই পারফরম্যান্স তো এখন অতীত। সেখানে নতুন দিনে, নতুন ম্যাচ খেলব।”