কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর নেই আগের মতো ধার, তাই জায়গা হারাতে হয়েছে পাকিস্তান টেস্ট দলে। তবে মোহাম্মদ আব্বাস দেখালেন, ছন্দ ফিরে পেতে শুরু করেছেন তিনি। নিখুঁত লাইন-লেংথ আর সুইং বোলিংয়ের জাদুতে পাকিস্তানি পেসার আলোড়ন তুলেছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। চোখের পলকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং!
Published : 17 Apr 2021, 11:20 AM
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে শুক্রবার হ্যাম্পশায়ারের হয়ে মিডলসেক্সের বিপক্ষে এই চোখধাঁধানো বোলিং পারফরম্যান্স দেখান আব্বাস। ১২ বলের মধ্যে পূরণ করেন ৫ উইকেট, এর মধ্যে ছিল হ্যাটট্রিকও! মাত্র ১ বলের জন্য তিনি ছুঁতে পারেননি রেকর্ড।
সাউথ্যাম্পটনে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালের সেশনে হ্যাম্পশায়ার প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩১৯ রান তুলে। লাঞ্চের আগে বাকি ছিল ৬ ওভার। এতেই মিডলসেক্সকে নাকাল করে ছাড়েন আব্বাস।
ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে শুরু হয় আব্বাসের ধ্বংসযজ্ঞ। শাফল করে সুইং কাভার করতে চেয়েও পারেননি বাঁহাতি ম্যাক্স হোলডেন, অফ স্টাম্পে একটু বাড়তি লাফানো বলে ক্যাচ যায় তৃতীয় স্লিপে। পরের বলে আরেক বাঁহাতি নিক গাবিন্স এলবিডব্লিউ একটু ভেতরে ঢোকা বলে।
পরের ওভারের প্রথম বলে হয়ে যায় হ্যাটট্রিক। হালকা সিম মুভমেন্ট করা অফ স্টাম্প ঘেঁষা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মিডলসেক্স অধিনায়ক স্টিভ এসকিনাজি। হ্যাটট্রিকের আনন্দে ডানা মেলে দেন আব্বাস।
নিজের পরের ওভারে দুই ডানহাতি রবি হোয়াইট ও মার্টিন এন্ডারসনকে ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ করেন আব্বাস। ৫ উইকেটে ১৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় মিডলসেক্স। আব্বাসের ৫ উইকেট হয়ে যায় ১২ বলের মধ্যেই।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রায়ান প্যাটেলের। ২০১৮ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে গিল্ডফোর্ডে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি স্রেফ ১১ বলের মধ্যে। মজার ব্যাপার হলো, রায়ান মূলত ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করেন কাজ চালানোর স্লো মিডিয়াম পেস। ওই ম্যাচে ৫ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি, ক্যারিয়ারে এখন যা তার একমাত্র ৫ উইকেট।
আব্বাস স্পর্শ করেন জ্যাক ক্যালিসকে। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ১২ বলের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ক্যালিস।
স্পেলের প্রথম বল থেকে হিসাব করলে আব্বাসের ৫ উইকেট হয়েছে ১৭ বলের মধ্যে।
আব্বাসের যন্ত্রণা থেকে এরপরও নিস্তার পায়নি মিডলসেক্স। একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার স্যাম রবসনকে লাঞ্চের পর বিদায় করে দেন তিনি। প্রথম ৬ উইকেটই তার!
পরে সতীর্থ পেসাররাও জ্বলে উঠলে মিডলসেক্স গুটিয়ে যায় কেবল ৭৯ রানেই। আব্বাসের বোলিং বিশ্লেষণ ১১-৬-১১-৬!