একাদশে জায়গার লড়াইয়ে তারা দুজন প্রবল প্রতিপক্ষ। তবে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও রিশাভ পান্তের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলেই দাবি করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বরং দুজন নাকি পরস্পরকে সহায়তা করেন। পান্তের কিপিং নিয়ে সমালোচনায় প্রসঙ্গেও এই তরুণের পাশেও দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান।
Published : 23 Jan 2021, 07:58 AM
গত কয়েক বছরে ভারতের টেস্ট একাদশে উইকেট-কিপারের জায়গা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে আসছে এই দুজনকে ঘিরেই। কিপিংয়ের দক্ষতায় ৩৬ বছর বয়সী ঋদ্ধিমান এগিয়ে অনেকটাই। পান্তের কিপিং সেখানে বেশ পিছিয়ে। বড় ভুল করেন প্রায়ই। তবে ব্যাট হাতে ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার স্পেশাল একজন, এর মধ্যেই প্রমাণ রেখেছেন ম্যাচ জেতানো ক্ষমতার।
বেশ কিছুদিন ধরে দুজনের ক্ষেত্রে একটি সমাধান ঠিক করে নিয়েছিল ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। দেশের মাটিতে টার্নিং উইকেটে কিপিং করা চ্যালেঞ্জিং বলে এখানে তারা বেছে নিচ্ছিল ঋদ্ধিমানকে। বিদেশের মাটিতে কিপারের পরীক্ষা অতটা কঠিন নয় বলে ব্যাটিংয়ের জন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল পান্তকে।
এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে একটু বদল আসে ভাবনায়। প্রথম টেস্টে সুযোগ দেওয়া হয় ঋদ্ধিমানকে। কিপিং যথারীতি ভালো করেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হন ব্যাট হাতে। পরের টেস্টে সুযোগ পান পান্ত। ক্যাচ ছেড়ে সমালোচনা হজম করেন তিনি আবারও। তবে মন জিতে নেন শেষ দুই টেস্টে ব্যাট হাতে অসাধারণ দুটি ইনিংস খেলে।
দুজনের এই লড়াই তাই ভারতীয় ক্রিকেটে জমজমাট গল্পের উপকরণ এখন। তবে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমান বললেন, এই লড়াই স্রেফ ক্রিকেটীয়ই।
“ ওকে (পান্ত) জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপরায়ণ। একাদশে সুযোগ যারই হোক, আমরা পরস্পরকে সহায়তা করি। ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব আমাদের নেই।”
“ কে ১ নম্বর কিপার বা ২ নম্বর, এসব আমি দেখি না। যে ভালো করবে, দল তাকেই সুযোগ দেবে। আমি নিজের কাজ করে যাব। সুযোগ পাওয়া আমার হাতে নেই, ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।”
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টের পর তাকে বাদ দিয়ে পান্তকে একাদশে ফেরানো যৌক্তিক বলেই মনে করেন ঋদ্ধিমান।
“ আমি রান করতে পারিনি, এজন্যই পান্ত সুযোগ পেয়েছে। ব্যাপারটা এরকমই স্বাভাবিক। আমি সবসময়ই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের স্কিলের উন্নতিতে, এখনও সেই মানসিকতাই আছে আমার।”
পান্ত কিপিংয়ে ক্যাচ বা স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। তার কিপিং টেকনিক নিয়ে প্রশ্নও ওঠে নিয়মিত। ঋদ্ধিমান বললেন এই তরুণ কিপারকে আরও সময় দিতে।
“ প্রথম শ্রেণিতে থাকতেই কেউ বীজগণিত শিখে ফেলে না। ধাপে ধাপে এগোতে হয়। সে সবটা দিয়ে চেষ্টা করছে এবং নিশ্চিতভাবেই উন্নতি করবে। সে আগের চেয়ে পরিণত হয়েছে, নিজেকে প্রমাণও করেছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য শুভ ইঙ্গিত।”