টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় কেটেছে বছরের পর বছর। অবশেষে অপেক্ষা ফুরাল প্রায় ১১ বছর পর। তবে উপলক্ষটা রাঙাতে পারলেন না ফাওয়াদ আলম। ফেরার ম্যাচে প্রথম ইনিংসে আউট হলেন রানের খাতা খোলার আগেই।
Published : 13 Aug 2020, 11:52 PM
সাউথ্যাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার চার বল খেলে শূন্য রানে বিদায় নেন ফাওয়াদ। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ক্রিস ওকসের বলে। ইংল্যান্ড তাকে ফেরায় রিভিউ নিয়ে।
৩৪ বছর বয়সী ফাওয়াদ এর আগে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০০৯ সালের নভেম্বরে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে। সেই বছরই জুলাইয়ে তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অভিষেক রাঙিয়েছিলেন সেঞ্চুরিতে, দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৬৮। সেই সিরিজের পরের টেস্ট ও নিউ জিল্যান্ড সফরে ভালো করতে পারেননি তিনি। তাতেই জায়গা হারান দলে।
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ব্যাটে রান এসেছে বানের জলের মতো। পারফর্ম করেছেন মৌসুমের পর মৌসুম। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বরাবরই উপেক্ষিত থেকে গেছেন টেস্ট দলে।
গত বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ১০ বছর পর পাকিস্তানের টেস্ট দলে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। পরের সিরিজেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দলে ছিলেন; কিন্তু সেবারও একাদশে সুযোগ হয়নি।
ইংল্যান্ড সফরে প্রথম টেস্টেও সুযোগ মেলেনি। দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পান লেগ স্পিনার শাদাব খানের জায়গায়। ডানেডিনে তার সবশেষ টেস্টের পর আরেকটি টেস্ট খেলার জন্য মাঝে কেটেছে ৩ হাজার ৯১১ দিন!
সময়ের হিসাবে সবচেয়ে বেশি বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলার বিশ্ব রেকর্ডটা জন ট্রাইকোসের। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট। এর পরপরই বর্ণবাদের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীতে ট্রাইকোস তার চতুর্থ টেস্ট খেলেন জিম্বাবুয়ের হয়ে ভারতের বিপক্ষে। এই দুই টেস্টের মাঝে বিরতি ছিল ২২ বছর ২২২ দিন!
ফাওয়াদের দুই টেস্টের বিরতির মাঝে পাকিস্তান খেলেছে ৮৮ টেস্ট। দুই টেস্টের মাঝে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট মিস করার বিশ্ব রেকর্ড ইংল্যান্ডের গ্যারেথ ব্যাটির (১৪২ টেস্ট)। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১১ বছর পর টেস্টে ফিরেছিলেন তিনি।