ওয়ানডে ক্রিকেটে মন্থরতম সেঞ্চুরির রেকর্ডে এমনিতে তৃপ্তির চেয়ে অস্বস্তিই বেশি থাকার কথা। তবে সেই ইনিংস যদি গড়ে দেয় দলের জয়ের ভিত, এনে দেয় ম্যাচ সেরার সম্মান, তব গর্ব করা যায় বৈকি! তামিম ইকবালের বাড়তি তৃপ্তি আরেকটি জায়গায়। ধুঁকতে হয়েছে লম্বা সময়। তবু লড়াই চালিয়ে গেছেন ইনিংসের শুরু থেকে শেষ!
Published : 23 Jul 2018, 01:24 PM
১৪৬ বলে সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের মন্থরতম। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬০ বল খেলেও রান কেবল ১৩০, তার আশি রানের বেশি ইনিংসগুলোর মধ্যে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির ইনিংস। তামিম ছিলেন একটু বেশিই অচেনা।
তবে এদিনের উইকেট আর পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় এই ইনিংসই হয়ে উঠেছে ম্যাচ জেতানো ইনিংস। খানিকটা দূরূহ উইকেটে একটা পাশ আগলে রেখে তামিম টেনে নিয়েছেন দলকে। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন দুইশ রানের জুটি। সাকিবও পরিস্থিতি বুঝে আপোস করেছিলেন নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে। দুজনের ২০৭ রানের জুটিতে বল লেগেছে তাই ২৫৪টি।
তারা হাল ছাড়েননি বলেই শেষ দিকে ঝড় তোলার সুযোগ পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে তামিম জানালেন, উইকেট বুঝেই এদিন তারা হেঁটেছেন এই পথে।
“দলের জয়ে যে কোনো ইনিংসই স্পেশাল। বিশেষ করে আজকে যখন আমরা ব্যাটিংয়ে নামি, উইকেট খুব সহজ ছিল না। শক্ত অবস্থানে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ২৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট খুবই কঠিন ছিল। বল টার্ন করছিল, পেসারদের জন্যও সহায়তা ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে যত লম্বা খেলা যায়।”
স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকালেও সম্ভাব্য একটি স্কোর দুজনই গেঁথে নিয়েছিলেন মাথায়। উইকেট ছিল হাতে, শেষ দিকে মুশফিকের ১১ বলে ৩০ রানের ঝড়ে বাংলাদেশ পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত স্কোরের চেয়েও বেশি রান।
তামিম আলাদা করে বললেন বোলিং আর নেতৃত্বে মাশরাফির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কথাও।
“একটা লক্ষ্য আমাদের মাথায় ছিল, সেটা আমরা অর্জন করেছি। সত্যি বলতে যে লক্ষ্য আমরা ঠিক করেছিলাম, মুশফিকের ক্যামিওটির সৌজন্যে আরও ১৫-২০ রান বেশি হয়েছে। মুশফিকের ইনিংসটি ছিল দারুণ। সাকিব অবিশ্বাস্য ভালো খেলেছে। আমি কষ্ট করে রান করেছি।”
“বোলিংয়ে মাশরাফি ছিলেন দুর্দান্ত। এই উইকেটে যেটা দরকার ছিল, তার অভিজ্ঞতা দিয়ে উনি সেটিই করেছেন। অধিনায়কত্বও ছিল নিখুঁত। বোলিং পরিবর্তন যখন যেটা দরকার ছিল, সেটিই করতে পেরেছেন।”