দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৭ রানে।
Published : 07 Oct 2017, 02:03 PM
শেষের স্বস্তি
দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হলো না বাংলাদেশেকে। ১২ মিনিট খেলা হওয়ার কথা ছিল। হলো মিনিট পাঁচেক। বিনা উইকেটে ৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন আরও ৪১৯ রান!
বাংলাদেশের জন্য আরও একটি হতাশার দিন। তৃতীয় দিনে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির শঙ্কাও নেই। বাংলাদেশকে ডাকছে আরেকটি বিব্রতকর হার।
Stumps, Day 2: Bad light has put an end to today's play. BAN 7/0 (1.2 ovs), they trail by 419. #ProteaFire #SAvBAN pic.twitter.com/UGKrmFSeyK
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
প্রথম ইনিংসে ৪২৬ রানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা । দিনেরও শেষ ভাগ। ফলো অন না করানোর কারণ নেই। ফাফ দু প্লেসি আবার ব্যাটিংয়ে পাঠালেন বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসের ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাটিংয়ে। ভীষণ চ্যালেঞ্জিং দিনের শেষ কটি ওভার!
রাবাদার হাতেই শেষ
আউট হতে হতেও বারবার বেঁচে যাচ্ছিলেন রুবেল। শেষ পর্যন্ত রাবাদার ইয়র্কারে সমাপ্তি। রুবেলকে ফিরিয়ে রাবাদা গুটিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ৫ উইকেট। ৩৩ রানে ৫ উইকেট!
১৪৭ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৪২৬ রানে পিছিয়ে।
এসেই বিদায় মুস্তাফিজের
পেসারদের উইকেট উৎসবে যোগ দিলেন স্পিনার কেশভ মহারাজও। ফিরিয়ে দিলেন সদ্য উইকেটে আসা মুস্তাফিজুর রহমানকে।
ব্যাট-প্যাড ক্যাচের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাট ছুঁয়েই এসেছে বল।
রানের খাতা খুলতে পারেননি মুস্তাফিজ। বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৪৩।
রাবাদার শিকার লিটন
সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝেও লড়াই করে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন লিটন দাস। তাকে ফেরাতে কাগিসো রাবাদাকে আক্রমণে ফেরালেন ফাফ দু প্লেসি। রাবাদাও হাসি ফোটালেন অধিনায়কের মুখে।
অন্য পেসারদের শর্ট বলে দারুণ সব পুল খেলেছেন লিটন। কিন্তু বেশি গতিময় রাবাদাকে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড়। বল উঠল আকাশে। স্লিপে বল হাতে জমালেন দু প্লেসি।
ক্যারিয়ার সেরা ৭০ করে ফিরলেন লিটন। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪৩।
বাঁচলেন রুবেল
মহারাজের বলে ডিফেন্স করেছিলেন রুবেল। বল তার বুটের অগ্রভাগে লেগে ওঠে ক্যাচ। সিলি পয়েন্টে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বলটি আঙুলে জমান এলগার। তবে তার আগে স্পর্শ করে মাটি। আম্পায়ার কুমারা ধর্মসেরা সফট সিগন্যাল ছিল আউট। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় নট আউট।
৮ রানে বাঁচলেন রুবেল। দলের রান ৭ উইকেটে ১৪৩।
ওভারে চারটি চার
তাইজুলের সঙ্গে জুটি ভাঙলেও লিটন খেলে যাচ্ছেন দারুণ। আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োর এক ওভারে বাউন্ডারি মারলেন চারটি! প্রথমটি দারুণ এক পুল শটে। ওভারের শেষ তিন বলে তিনটি দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভে।
ভাঙল প্রতিরোধ
অ্যাঙ্গেল বদলে রাউন্ড দা উইকেটে গেলেন ডুয়ানে অলিভিয়ের। সাফল্য তাৎক্ষনিক। বোল্ড করে দিলেন তাইজুল ইসলামকে।
লেংথ বল দারুণভাবে ভেতরে ঢুকে তাইজুলের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে ছোবল দেয় স্টাম্পে। বাতাসে কয়েকবার ডিগবাজি খায় অফ স্টাম্প।
১২ রানে আউট তাইজুল। ভাঙল ৫০ রানের জুটি। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১১৫।
লিটনের মাইলফলক
স্রোতের বিপরীতে হাল ধরেছেন লিটন দাস। ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে দাঁড়িয়েছেন শক্ত হাতে। করেছেন অর্ধশতক।
শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন তিনিও। তবে দ্রুত সামলে নেন। খেলেন দৃষ্টিনন্দন সব ড্রাইভ, আরও কিছু দারুণ শট। সতীর্থদের দেখিয়েছেন এই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এই উইকেটে খেলা কঠিন নয়।
৯ চারে ৫৩ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ। ষষ্ঠ টেস্টে লিটনের এটি দ্বিতীয় অর্ধশতক। আগেরটিও ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, তার দ্বিতীয় টেস্টে। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে।
বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১১৪।
শূন্যতে শেষ সাব্বির
ইমরুলের আউটের রেশ থাকতে থাকতেই আরও একটি উইকেট। শিকারি সেই রাবাদা। আবারও স্টাম্পের বাইরের বল। আউট সাব্বির।
অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বলটি ড্রাইভ করলেন সাব্বির। ব্যাটের নিচের দিকে লেগে সোজা শট এক্সট্রা কাভারে থাকা পার্নেলের হাতে। রানের খাতাও খুলতে পারলেন না সাব্বির।
ধুঁকছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হারিয়ে রান ৬৫।
এবার বিদায় ইমরুলের
চা বিরতির পর প্রথম ওভারেই আরেকজনের বিদায়। এবার আউট ইমরুল। যথারীতি বাইরের বল তাড়া করে!
অফ স্টাম্পের বাইরে রাবাদার ব্যাক অফ লেংথ বলে চালিয়ে দিলেন ইমরুল। শরীর থেকে বেশ দূরে। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে। কিপার কুইন্টন ডি ককের তৃতীয় ক্যাচ।
২৬ রানে আউট ইমরুল। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৬১।
OUT! Rabada strikes straight after Tea. Imrul goes for 26, caught well by de Kock. BAN 61/5, trail by 512. #ProteaFire #SAvBAN pic.twitter.com/ondQtt4nGZ
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
আবারও অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া। আবারও আউট হওয়ার সুযোগ। তবে স্লিপে লাফিয়েও বল ধরতে পারেননি ডিন এলগার। বেঁচে গেলেন লিটন দাস। আরও বিপদ থেকে বাঁচল বাংলাদেশ।
বিপদ অবশ্য এমনিতেই কম নেই। বিশাল রানের চাপায় এখনই হাঁসফাঁস করছে দল। দলের রান পঞ্চাশের আগেই আউট হয়ে গেছেন চার জন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন চা-বিরতির সময় বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৬১।
TEA, Day 2: BAN 61/4 (17 ovs), trail by 512 runs. Kayes 26*, Das 10*. #SAvBAN #ProteaFire pic.twitter.com/U9UBv3J1jh
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
ওয়েইন পার্নেলের প্রথম বল। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে ফুল লেংথ। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেই বাউন্ডারি মারলেন মাহমুদউল্লাহ। পরের পর আবারও স্টাম্পের বা্ইরে, এবার শর্ট অফ লেংথ। মাহমুদউল্লাহ না খেললেন কাট, না করলেন ড্রাইভ। শেষ মুহূর্তে আবার ব্যাট সরিয়েও নিলেন। ততক্ষণে সর্বনাশ হয়ে গেছে।
একটু বাড়তি লাফিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের কানা। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ।
৪ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৪৯।
অসাধারণ ক্যাচে মুশফিকের বিদায়
সময়ের সেরা ফিল্ডারদের একজন টেম্বা বাভুমা। কেন তিনি অন্যতম সেরা, সেটিই দেখালেন আরেকবার। উইকেট লেখা থাকবে ডুয়ানে অলিভিয়েরের নামে। কিন্তু বড় অবদান বাভুমার।
অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অফ লেংথ বলটিতে মুশফিকের শট, বল ছুটে যাচ্ছিল গুলির বেগে। গালিতে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে অসাধারণ এক রিফ্লেক্স ক্যাচ নিলেন বাভুমা। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মুশফিক। বাভুমার প্রতিক্রিয়া বলছিল,তিনি চমকে দিয়েছেন নিজেকেও।
৭ রানে আউট হলেন মুশফিক। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে টালমাটাল বাংলাদেশ। রান ৩ উইকেটে ৩৬।
The real #CatchOfTheDay.#ProteaFire #SAvBAN @tbavuma10 pic.twitter.com/fBQX4SHQhZ
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
শরীর সোজা আসা শর্ট বলটি ছাড়লেন মুমিনুল। তবে সিদ্ধান্ত নিতে করে ফেললেন একটু দেরি। ছাড়ার আগে ক্ষণিকের জন্য খেলতে যাওয়াতেই সর্বনাশ। বল তার গ্লাভসে ছোবল দিয়ে কিপারের গ্লাভসে।
রাবাদার পর উইকেট শিকারে নাম লেখালেন তার নতুন বলের সঙ্গী ডুয়ানে অলিভিয়ের। সৌম্যর পর আউট হলেন মুমিনুল হক। ফিরলেন ৪ রানে।
বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৬।
লেগ স্টাম্পে বোল্ড সৌম্য
শর্ট বলে বেশ কয়েকবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে। যদিও টিকে যান দুজনই। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ভালো বল সামলে সৌম্য বোল্ড হলেন আপাত নিরীহ এক বলে। তবে সেটিও শর্ট বলেরই প্রভাব।
একের পর এক শর্ট বলে সৌম্যকে পেছনে পায়ে ঠেলে দিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। ব্যাটসম্যানকে শাফল করতে দেখে লেগ স্টাম্পে লেংথ বল করলেন রাবাদা। ব্যাটে লাগাতে পারলেন না সৌম্য। তার পায়ের পেছন দিয়ে গিয়ে বল লাগল লেগ স্টাম্পে।
৯ রানে ফিরলেন সৌম্য। বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১৩।
ইনিংস ঘোষণা
দ্বিতীয় সেশনে খুব বেশি সময় ব্যাট করল না দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ ওভারে উঠল ৪৩ রান। ইনিংস ঘোষণা করল তারা ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানে।
১৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন দু প্লেসি, ২৭ বলে ২৮ রানে ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকা ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৪.৭৮ করে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ১১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম শুভাশিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১২০ ওভারে ৫৭৩/ (এলগার ১১৩, মারক্রাম ১৪৩, আমলা ১৩২, বাভুমা ৭, দু প্লেসি ১৩৫*, ডি কক ২৮*; মুস্তাফিজ ০/১১৩, শুভাশিস ৩/১১৮, রুবেল ১/১১৩, সৌম্য ০/২১, তাইজুল ০/১৪৫, মাহমুদউল্লাহ ০/৩৫, মুমিনুল ০/৬, সাব্বির ০/১৬)
এক ওভারে ২১
তাইজুল ইসলামকে পেয়ে বসলেন কুইন্টন ডি কক। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা, পরের বলে চার। এক বল পর আবার ছক্কা। এরপর একটি সিঙ্গেল। শেষ বলে চার মারলেন ফাফ দু প্লেসি। ইনিংস ঘোষণার দিকে এগোতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ১ ওভারেই নিল ২১ রান। রান ৪ উইকেটে ৫৬৩।
অবশেষে ভাঙল জুটি
লাঞ্চের পর দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যটা পরিষ্কার-রান বাড়ানো। সেই চেষ্টাতেই আউট হলেন হাশিম আমলা। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই বোল্ড।
অনেকটা শাফল করে অফ স্টাম্পের বাইরে এসেছিলেন আমলা। শুভাশিস সেটি দেখে বল করলেন স্টাম্প সোজা। হলো না ব্যাটে-বলে। বল লাগল লেগ-মিডল স্টাম্পে।
১৩২ রানে আউট হলেন আমলা। ভাঙল চতুর্থ উইকেটে ২৪৭ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ৫৩৫।
We're back from lunch and SA have lost the wicket of Hashim Amla who was bowled by Subashis Roy on 132. SA 540/4 (114.4 ovs). #SAvBAN pic.twitter.com/UX1bNgEbvf
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
নতুন দিনেও নতুন আশায় মাঠে নামার কোনো প্রতিফলন নেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। আগের দিনের চেয়েও বিবর্ণ বোলিং, একইরকম বাজে শরীরী ভাষা। অনায়াসেই তাই বেড়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার রান।
হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসির ব্যাটে যথারীতি রানের স্রোত। প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে রান উঠেছে ১০২।
দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৫৩০। ১৩২ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছেন আমলা, ১২০ রান নিয়ে দু প্লেসি। দুজনের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটির রান ২৪২।
দ্বিতীয়বারের মত এক ইনিংসে চার সেঞ্চুরিয়ান পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসেই দুটি দুইশ রানের জুটি হলো দ্বিতীয়বার। বাংলাদেশের মূল চার বোলারই করেছেন রান দেওয়ার সেঞ্চুরি।
পাঁচশর ঠিকানায়
আগের টেস্টে ১৪৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ৩ উইকেট হারিয়েই দল স্পর্শ করল পাঁচশ, মাত্র ১০৮.১ ওভারেই!
দু প্লেসির সেঞ্চুরি
আগের টেস্টে সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি। এবার আর সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন না ফাফ দু প্লেসি। মুস্তাফিজকে চার মেরে সেঞ্চুরি ছুঁলেন ১৪৭ বলে। ৪৫ টেস্টে তার সপ্তম সেঞ্চুরি।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৪৯৫। আমলা খেলছেন ১১৪ রানে।
এক ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার চার সেঞ্চুরি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসেই চার সেঞ্চুরি এই নিয়ে হলো চারবার। ২০০১ সালে মুলতানে সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের পাঁচ ব্যাটসম্যান, যেটি বিশ্বরেকর্ড। ২০০৭ সালে চার সেঞ্চুরি ছিল ভারতের ইনিংসে, একই বছর চারটি ছিল শ্রীলঙ্কার এক ইনিংসে।
আরেকটি জুটিতে দুইশ
উদ্বোধনী জুটির পর আরও একটি জুটিতে এলো দুইশ রান। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলিং একদমই নির্বিষ। দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা সচল দারুণ গতিতে। চতুর্থ উইকেটে আমলা ও ফাফ দু প্লেসির জুটিতে হলো ডাবল সেঞ্চুরি।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৪৮৮।
A boundary by Amla brings up the 200-run partnership between him and du Plessis! Current score is 491/3 (106 ovs) #ProteaFire #SAvBAN pic.twitter.com/wkzJ1s90wB
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে সেঞ্চুরি একরকম অবধারিতই ছিল। কেবল ছিল সময়ের ব্যাপার। সেই সময়ও এসে গেল। মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি স্পর্শ করলেন ১১৩ বলে। সিরিজে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
২৮তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে আমলা ছাড়িয়ে গেলেন গ্রায়েম স্মিথকে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তার বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল জ্যাক ক্যালিসের, ৪৫টি।
১১৭ টেস্টে ২৭ সেঞ্চুরি ছিল স্মিথের। আমলা ছাড়িয়ে গেলেন ১০৯ টেস্টেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। দলের রান ৩ উইকেটে ৪৫৮।
SA 462/3 after 99 overs. Amla 103, du Plessis 81*. Have a look at @amlahash's wagon wheel. #ProteaFire #SAvBAN pic.twitter.com/Fx08Vr010o
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় লাঞ্চ বিরতি।
আবার বৃষ্টি
মাঠ কর্মীরা যখন মাঠ শুকানোর কাজ করছে, তখনই আবার নামল বৃষ্টি। খেলা শুরু হতে তাই আরও দেরি নিশ্চিত। লাঞ্চের আগে খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে। মাঠের ড্রেনেজ খুব বেশি ভালো নয়। মাঠ কর্মীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামার পর মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।
দেরিতে শুরু
সকালে বৃষ্টি হয়েছে ব্লুমফন্টেইনে। থেমেছে স্থানীয় সময় ৯টার দিকে। ভেজা মাঠ খেলার উপযোগী করার কাজ চলছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে।
নতুন আশায় আরেকটি দিন
#CSAnews Elgar, Markram set the tone for Proteas Runs Fest https://t.co/jkVk5mMee5 #ProteaFire #SAvBAN pic.twitter.com/9Eb2FHD5V6
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 7, 2017