ব্যাটসম্যানদের কাঁধে রানের বোঝা

আবার বাংলাদেশের বিবর্ণ বোলিং, আবার দক্ষিণ আফ্রিকার রান উৎসব। ডিন এলগার, এইডেন মারক্রামের পর সেঞ্চুরি পেলেন হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসি। চার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে দ্বিতীয় টেস্টে বিশাল সংগ্রহ গড়েছে স্বাগতিকরা।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতব্লুমফন্টেইন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2017, 01:08 PM
Updated : 7 Oct 2017, 05:30 PM

বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনে ৩০ ওভার খেলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে সময়ে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৭৩ রান।

ম্যানগাউং ওভালে শনিবার ৩ উইকেটে ৪২৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। এদিন কেবল আমলার উইকেট হারিয়ে ৩০ ওভারে আরও ১৪৫ রান যোগ করে তারা।

নতুন দিনে নতুন শুরু পায়নি বাংলাদেশ। নির্বিষ বোলিংয়ের বিপক্ষে দ্রুত এগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু প্লেসির চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ২৮তম শতক করে গ্রায়েম স্মিথকে (২৭) পেছনে ফেলা আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তার বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে কেবল জ্যাক ক্যালিসের (৪৫)। 

১১৩ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৮৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা আমলা। সিরিজে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চোখ জুড়ানো সব শটে আত্মবিশ্বাস যেন গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বোলারদের।

লাঞ্চের পর দ্রুত রান বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে খেলা প্রথম ওভারেই হারায় আমলাকে। শুভাশিস রায় চৌধুরীর বল অনেকটা শাফল করে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৬৩ বলে খেলা তার ১৩২ রানের দারুণ ইনিংসটি গড়া ১৭টি চারে।

আমলার সঙ্গে ২৪৭ রানের জুটি গড়ার পথে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি পেয়ে যান দু প্লেসি। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ১৩৫ রানে। তার ১৮১ বলের ইনিংসে চার ১৫টি। আমলার জন্য একটু আড়ালে ছিলেন দু প্লেসি, কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পেস-স্পিন কিছুই তাকে ভাবাতে পারেনি।  

খুনে মেজাজে ব্যাটিং করা কুইন্টন ডি কক ২৭ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে।

টেস্টে এনিয়ে চতুর্থবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে এক ইনিংসে চার বা বেশি ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেলেন। ২০০১ সালে প্রথম এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল দেশটির। সেবার সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের পাঁচ ব্যাটসম্যান। ২০০৭ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চার জন করে ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের বিপক্ষে একই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

স্বাগতিকদের রান উৎসবের ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে বাংলাদেশের চার বোলারেরও। তিন অঙ্কের রান দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, শুভাশিস ও তাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে সাতবার এক ইনিংসে বাংলাদেশের চার বা তার বেশি বোলারের রান দেওয়ার সেঞ্চুরি হল।

১১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুভাশিষ দলের সেরা বোলার।

বোলিং ব্যর্থতায় আবার ব্যাটসম্যানদের কাঁধে দলকে লড়াইয়ে রাখার কঠিন দায়িত্ব। পচেফস্ট্রুমে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসার চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১২০ ওভারে ৫৭৩/ (এলগার ১১৩, মারক্রাম ১৪৩, আমলা ১৩২, বাভুমা ৭, দু প্লেসি ১৩৫*, ডি কক ২৮*; মুস্তাফিজ ০/১১৩, শুভাশিস ৩/১১৮, রুবেল ১/১১৩, সৌম্য ০/২১, তাইজুল ০/১৪৫, মাহমুদউল্লাহ ০/৩৫, মুমিনুল ০/৬, সাব্বির ০/১৬)