বাংলাদেশে সিরিজ যে এবার সহজ হবে না, সেটি জেনেই এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সত্যি সত্যিই হেরে বসবে, সেটা হয়ত বুঝে উঠতে পারেনি। হারার পর তাই চলছে দহন। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম আর ক্রিকেট মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে সেই ঝড় থামাতে চায় অস্ট্রেলিয়া।
Published : 02 Sep 2017, 06:56 PM
ঢাকা টেস্ট শেষে চট্টগ্রামে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ান কোচ ড্যারেন লেম্যান বলে গেছেন, হারার পর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানদের। চট্টগ্রামে শনিবার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে দল।
সেখানেই ওপেনার ম্যাট রেনশ বললেন, ঢাকার ভুলের পুনরাবৃত্তি চট্টগ্রামে করতে চান না তারা।
“যে কোনো টেস্ট ম্যাচ হারাই হতাশার। হোক সেটা দেশের মাটিতে বা বিদেশে। তবে দলের আবহ এখনও ভালো। আমরা জানি প্রথম টেস্টে কোথায় ভুল করেছি আমরা। দ্বিতীয় টেস্টে সেই ভুলগুলি শোধরাতে মুখিয়ে আছি আমরা। আশা করি জিতে আমরা সিরিজ সমতায় শেষ করব।”
চট্টগ্রামেও হারলে শুধু সিরিজ হারই হবে না, র্যাঙ্কিংয়েও বিব্রতকর অবনমন হবে অস্ট্রেলিয়ার। হারলে তারা নেমে যাবে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বরে, যা গত ২৯ বছরে তাদের সর্বনিম্ন!
সবশেষ সেই ১৯৮৮ সালে ছয়ে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যালান বোর্ডার নেতৃত্বে সেই দলটিকে বলা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম দুর্বল দল। আগের ৫ বছরে ৪৩ টেস্টের মাত্র ৮টি জিতে ছয়ে নামে সেই দল।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইংল্যান্ড ৪-০ তে বিধ্বস্ত হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া উঠে যায় পাঁচে। পরের বছর অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানো। পরে নব্বইয়ের দশক আর ২০০০-এর শুরুর কয়েক বছর তারাই রাজত্ব করেছে ক্রিকেট বিশ্বে।