“নাসিরকে দলে চাই” - বাংলাদেশ দলের খেলা থাকলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এটি বিপুল জনপ্রিয় স্লোগান। যারা এই ডিজিটাল জগতে নেই বা থাকলেও ততটা সরব নন, তাদের মধ্যেও অনেকের দাবি এটা। আবার নাসির হোসেনের শৃঙ্খলা, আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার লোকও কম নেই। নাসির নিজের এই দুই দিককে কিভাবে দেখেন?
Published : 16 Jul 2017, 04:34 PM
জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা এই অলরাউন্ডার উত্তর খুঁজতে গিয়ে হয়ে গেলেন যেন দার্শনিক, “যাদের নাম হয়, তাদের বদনামও হয়।”
দলে ফেরার লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই নাসির আছেন চলতি ফিটনেস ক্যাম্পে। রোববার অনুশীলন শেষে মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের। উঠে এলো নাসিরের জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ। সঙ্গে উঠল সমালোচনাগুলোও।
দলে থাকার সময়ও সম্ভবত নাসির এতটা জনপ্রিয় ছিলেন না, যতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন দলের বাইরে থাকার সময়টায়। কৃতজ্ঞ নাসির তাই কথা দিলেন প্রতিদান দেওয়ার।
“জনপ্রিয়তা…আমি জানি না, মানুষ কেন আমাকে ভালোবাসে। এটা আমার বড় পাওয়া। সবাই এমনটি পায় না। আমি সেটি পেয়েছি। তাদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। তারা আমার ওপর যে বিশ্বাস রাখেন, অনেক আশা করেন, আমি চেষ্টা করব সেই বিশ্বাস ও আশাটা রাখার জন্য। সেটা করার জন্য এই অনুশীলন ক্যাম্প, ফিটনেস ক্যাম্প। চেষ্টা করছি জাতীয় দলে ফেরার জন্য।”
নাসিরের মতে, সমালোচনাও আসে জনপ্রিয়তার হাত ধরে। তিনি সেসবে কান দেন না। পেপার-পত্রিকাও নাকি পড়েন না।
“যাদের নাম হয়, তাদের বদনামও হয়। এটা সত্য কথা। আপনি আমাকে এক চোখে দেখবেন, আরেকজন আরেক চোখে দেখবে। আমার চোখ দিয়েও তো আমি সবাইকে এক চোখে দেখতে পারব না।”
“ফেইসবুক বলেন বা পেপার…সত্যি বলতে আমি পেপার পড়ি না। ফেইসবুক থাকা না থাকা একই কথা। শুধু তো সবার ব্যক্তিগত নিউজ আর নিউজ। আপনি যখন খেলাধুলা করেন, তখন এসব নিউজ আপনার মাথায় থাকে না। খেলার বাইরে মাঝে মাঝে আসে কথাগুলো। খেলার মধ্যে এসব জিনিস আসে না।”
নাসির যেমন চাইছেন ক্রিকেটেই মন দিতে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটে আবার নাম করতে পারলে, বদনামগুলোও দূরে সরতে থাকবে।