উইকেটে গিয়েছিলেন সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। ইনিংসের বাকি ছিল ৭ ওভার ১ বল। পরের সময়টুকুতে গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে যা হলো, সেটাকে বলা যায় টর্নেডো। আইরিশ বোলিং কচুকাটা করে মোহাম্মদ নবি গড়লেন দারুণ রেকর্ড।
Published : 12 Mar 2017, 06:11 PM
আর দু-একটি ওভার পেলে হয়ত সেঞ্চুরিই হয়ে যেত। ইনিংসের শেষ বলে যখন রান আউট হলেন, নবির নামের পাশে ৩০ বলে ৮৯! টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ নম্বরের নীচে ব্যাটিংয়ে নেমে এত রান নেই আর কারও।
রান বন্যার ম্যাচে রোববার আয়ারল্যান্ডকে ২৮ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-০ তে। টানা টি-টোয়েন্টি জয়ের বিশ্বরেকর্ডও আর এক ম্যাচ বাড়িয়ে নিল আফগানরা। জিতল টানা ১১ ম্যাচ।
11 consecutive T20I wins for @ACBofficials@ICC@Atif_Mashal pic.twitter.com/2YSoZzALXB
— Afghan Cricket Board (@ACBofficials) March 12, 2017
ইনিংসটির পথে বিরাট কোহলিকে (১ হাজার ৭০৯) ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় শাহজাদ (১ হাজার ৭৭৯) উঠে এসেছেন চারে।
শুরুর সময়টুকু শাহজাদই টেনেছেন দলকে। শেষে নবির তাণ্ডব। প্রথম ৫ বলে ছিল চার রান সেখান থেকে ২১ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগের চার বলে মেরেছেন তিন ছক্কা ও এক চার!
সব মিলিয়ে ৬ চার ও ৯ ছক্কায় ৩০ বলে ৮৯। পাঁচের নীচে নেমে আগের সর্বোচ্চ ছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন হোয়াইটের ৮৫। করেছিলেন ছয় নম্বরে নেমে। সাতে নেমে নবির আগে সর্বোচ্চ ছিল জ্যাকব ওরামের ৬৬।
আফগানিস্তান ২০ ওভারে তোলে ৭ উইকেটে ২৩৩ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি অষ্টম সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরে এটিই রেকর্ড!
নবির সৌজন্যে শেষ ৬ ওভারেই আফগানরা তুলেছে ১০৪ রান। রেকর্ড এটিও। শেষ ৬ ওভারে আগে সর্বোচ্চ ছিল আফগানদের বিপক্ষেই ইংল্যান্ডের ৮৭।
আইরিশদের জবাবও হয়েছে দুর্দান্ত। পল স্টার্লিংয়ের ঝড়ে ৪ ওভারে তুলে ফেলে তারা ৫৪। এই ওপেনার ফিরেছেন ২০ বলে ৪৯ রান করে।
স্টার্লিং ফিরলেও রানের গতি কমেনি। আরেক পাশে চালিয়ে যান স্টুয়ার্ট টম্পসন।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আয়ারল্যান্ড তোলে ৯১। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি যৌথভাবে রেকর্ড। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিলেটে আইরিশদের বিপক্ষেই ৯১ করেছিল নেদারল্যান্ডস।
১৮ বলে ৪৩ করে আউট হন টম্পসন। অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও কেভিন ও’ব্রায়েন দ্রুত ফিরলে গতি হারায় আয়ারল্যান্ডের রান তাড়া।
গ্যারি উইলসনের দারুণ ব্যাটিংয়ে আবার ফেরে তাদের আশা। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৫।
উইলসন যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে অসম্ভব মনে হচ্ছিল না লক্ষ্য। কিন্তু আগের ম্যাচে ৩ রানে ৫ উইকেট নেওয়া রশিদ খান আবার গড়ে দিলেন পার্থক্য। ১৯তম ওভারে উইলসনকেসহ নিলেন ৩ উইকেট। উইলসন করেছেন ৩৪ বলে ৫৯।
শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে নবি নেন এক উইকেট। ৭ বলের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে।