দলের সবার অনুশীলন প্রায় শেষ, দ্বিতীয়বারের মতো নেট শেষ হয়ে গেল তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকারদের। তখনও গল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় ফিল্ডিং করে চলেছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে মুমিনুল, সিলি পয়েন্টে অধিনায়ক একের পর এক ক্যাচ তালুবন্দি করছেন।
Published : 05 Mar 2017, 11:48 PM
রোববার গলে বাংলাদেশের অনুশীলনের শুরু আর শেষ ফিল্ডিং দিয়ে। এটাই বলে দেয় এই বিভাগে উন্নতি নিয়ে কতটা মরিয়া দলটি।
রোদ মাথায় করে মুশফিকদের অনুশীলন শুরু ফুটবল খেলে। এরপর শুরু ক্যাচিং অনুশীলন। প্রতিটি পজিশনের জন্য সবাইকেই ধরতে হয়েছে অসংখ্য ক্যাচ। প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে, ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা, ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ- খেলোয়াড়দের একেক গ্রুপকে একেক ধরনের ক্যাচিং অনুশীলন করান।
আকাশ ছোঁয়া ক্যাচ ধরতে কোনো সমস্যা হল না কারোরই। সীমানা ক্যাচগুলো ধরা গেল ঠিকঠাক। কিন্তু আসল জায়গাতে বিপদ এখনও কাটেনি। গালি, স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারদের হাত গলে পড়লো অনেক ক্যাচ। তবে উন্নতির চেষ্টাটা পুরোপুরিই দৃশ্যমান।
কঠিন কোনো ক্যাচ ধরলে সতীর্থরা বাহবা দিচ্ছেন। সহজ কোনো ক্যাচ হাতছাড়া হলে কিভাবে ধরা যেত ছুটে এসে বলে যাচ্ছেন কোচেরা। একেবারে মৌলিক জায়গা থেকে ক্যাচিংয়ে উন্নতির চেষ্টা চলছে। কঠোর পরিশ্রমে ক্যাচ ধরার কৌশল আয়ত্বের ব্যাপারটা উপভোগও করছেন ক্রিকেটাররা।
সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা দলটি নিউ জিল্যান্ড সফরে হারে সব ম্যাচেই। চিত্র পাল্টায়নি ভারত সফরেও। হাতছাড়া হয়েছে স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ। ক্যাচ ছুটেছে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফিল্ডারদের হাত থেকে। অবিশ্বাস্য ব্যর্থতায় মিস হয়েছে রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ।
টানা খেলা থাকায় আলাদা কোনো ক্যাম্প করে ফিল্ডিংয়ে উন্নতির আপাতত কোনো সুযোগ নেই। তাই খেলার ফাঁকেই যতটা সম্ভব উন্নতি করতে হবে হ্যালসলের শিষ্যদের। কঠোর পরিশ্রমে খানিকটা সুফল এর মধ্যে পেয়েছেও দলটি। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বড় কোনো ভুল করেনি তারা।
সেই ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া টেস্টে ধরে রাখার দিকে নজর বাংলাদেশের। তাই প্রস্তুতির শেষের দিকে এসে ফিল্ডিংয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়তি জোর। তার মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্লিপ, লেগ স্লিপ, গালি, পয়েন্ট, সিলি পয়েন্ট, শর্ট লেগের মতো পজিশনের ক্যাচিংকে।
কিপিং যতটা নিবেদন নিয়ে অনুশীলন করতেন মুশফিক, সিলি পয়েন্টে অনুশীলনের সময়ও তার মধ্যে দেখা গেল ততটা একাগ্রতা। নতুন পজিশনে মানিয়ে নিতে বেশি সময় নেননি অধিনায়ক। অখণ্ড মনোযোগে তালুবন্দি করলেন অসংখ্য ক্যাচ।
প্রথমবারের মতো লঙ্কা সফরে নিজেদের ফেভারিট ভাবা বাংলাদেশ মাঠে দেখতে চাইবে কঠোর এই পরিশ্রমের ফল।