তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুর পর বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়নি ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের কাছে তবু খুব চেনা বাংলাদেশ। প্রথম দুটি বিপিএলে প্রায় পুরো মৌসুমই খেলে গেছেন চিটাগং কিংসের হয়ে।
Published : 03 Oct 2016, 08:31 PM
মোসাদ্দেককে কোচের উপভোগের মন্ত্র
কোনো পজিশনেই আপত্তি নেই মোসাদ্দেকের
‘বোলিং ফিটনেস ফিরে পেয়েছে আল-আমিন’
রয় তখন উঠতি এক ক্রিকেটার। চেষ্টা করছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটে নিজেকে চেনাতে। সময়ের পরিক্রমায় সেই রয় এখন ওয়ানডেতে ইংলিশ ক্রিকেটের পালাবদলের অন্যতম নায়ক। নতুন ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেটের অন্যতম প্রতীক।
ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটিং স্বর্গ বানানোর সম্ভাবনা সামান্যই। মন্থর উইকেটে ইংলিশদের চিরন্তন দুর্বলতা কাজে লাগানোর ভাবনা নিশ্চয়ই থাকবে।
তবে বাংলাদেশেও নিজের মতোই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে চান রয়।
“আমি সম্ভবত মানসিকভাবে আমার ‘অ্যাপ্রোচ’ বদলাবো না। হয়ত টেকনিক্যালি দু-একটি ব্যাপার ঠিকঠাক করতে হবে। সত্যি বললে, কাজটা একই ধরনের, দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া। প্রথম ১৫-২০ বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ থিতু হওয়ার জন্য।”
গত বছরের মে মাসে ওয়ানডেতে অভিষেক রয়ের। সেই থেকে খেলেছেন ৩০টি ওয়ানডে, ৩ সেঞ্চুরিতে ৩৯.০৭ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৫৫। এই পরিসংখ্যানের চেয়ে উল্লেখযোগ্য তার স্ট্রাইক রেট, ১০৪.৬৬!
নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সফরে আসেননি হেলস। রয়ই তাই দলের মূল ওপেনার, দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার! বাংলাদেশে রয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন হয়ত মঈন আলি অথবা নতুন আসা বেন ডাকেট।
তবে সঙ্গী যাকেই পান, সেটা নিয়ে ভাবনা নেই ২৬ বছর বয়সী রয়ের।
“যেই দলে এসেছে, যোগ্য বলেই সুযোগ পেয়েছে। খুবই রোমাঞ্চকর ব্যাপার, আন্তজার্তিক ক্রিকেটে নিজেদের ছাপ রাখার সুযোগ তারা পাচ্ছে। মইন হোক বা ডাকেট, জানি না এখনও কে থাকবে, আমি স্রেফ এগিয়ে যাব। এসব নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। যদি ডাকেট সুযোগ পায়, নতুন বলে হয়ত একটু নার্ভাস থাকবে, তবে যোগ্য বলেই সে এখানে এসেছে।”
মঙ্গলবার বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেই একটা ধারণা পাওয়ার যেতে পারে, উদ্বোধনী জুটিতে কে হবেন রয়ের সঙ্গী।