এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের ক্রমশ মন্থর, নিচু আর দুই গতির উইকেটে প্রস্তুতি কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Published : 27 Nov 2015, 07:07 PM
জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের উপর মাশরাফির আস্থা
সাকিব না থাকায় ভারসাম্য হারায় রংপুর
বিপিএলের তৃতীয় আসরের উইকেট টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ নয়। মানিয়ে নিতে লম্বা সময় উইকেটে কাটাতে হবে, যা ওয়ানডেতে সম্ভব হলেও টি-টোয়েন্টিতে নয়। এসেই শট খেলার চাপে থাকা ব্যাটসম্যানরা তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে তালগোল পাকাচ্ছেন।
প্রায় সব ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটাররা জানাচ্ছেন, উইকেট ক্রমশ মন্থর হচ্ছে, কখনও কখনও নিচু হচ্ছে। বল কখনও স্কিড করে দ্রুত ব্যাটে আসছে আবার কখনও দেরি করছে। এমন উইকেটে খেলাকে ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ৮২ রানে অলআউট করে ৯ উইকেটে জেতে কুমিল্লা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানান, এই উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে ঠিকই কাজে লাগবে।
“বাংলাদেশ দল যখন বাইরে খেলতে যাবে, তখন যদি এরকম উইকেট পায় তাহলে কিন্তু কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা থাকবে যে কিভাবে খেলতে হবে। কঠিন হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের জন্যে। তবে এখানে মানিয়ে নেওয়াটা চ্যালেঞ্জ।”
এই উইকেট কিন্তু রেস্টলেস। এ কারণে হয়ত উইকেট তৈরি করা যাচ্ছে না। আশা করছি, চট্টগ্রামে ভালো পিচ পাওয়া যাবে। এই মাঠ ততদিন বিশ্রাম পাবে বলে ফিরেও ভালো পিচ পাওয়া যাবে।”
ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে খেলার কিছু ইতিবাচক দিকও দেখছেন মাশরাফি। তিনি মনে করেন, এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা রান পেলে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে থাকবে।
“ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এটাও কিন্তু খারাপ না। আবার এখানে ভালো করলে বোলারদেরও ভালো লাগবে। টি-টোয়েন্টিতে সবাই বড় রান চায়। স্পোর্টিং উইকেট হলে সবার জন্যে সুবিধা হয়। এটা না হওয়ায় মনে হচ্ছে, ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন কম হয়ে যাচ্ছে।”