বৃহস্পতিবারের এ ঝড়ে রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া ও সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Published : 17 May 2013, 12:48 PM
ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতার নদীর জোয়ারের পানিতে রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও চররমনীতে সয়াবিন, বাদাম, মরিচ, মুগ-মুশুরী, ফেলনসহ অন্যান্য ডাল জাতীয় ফসল, বরবটিশীম, জিঙ্গা, চিচিঙ্গা, শসা, ঢেঁড়স, বেগুন, ডাটা শাক, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি নষ্ট হয়ে যায়।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ওসমান খান বলেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বেশ কয়েক হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পরিসংখ্যান শেষ হলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে।
গত বছর বেশি লাভ আসায় এবার বেশিরভাগ জমিতে সয়াবিনের আবাদ করেন বলে জানান অনেক কৃষক।
স্থানীয়রা জানান, মহাসেনের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার পানি উঠে চর গজারিয়া, তেলীরচর, বয়ারচর, মেঘারচরসহ নিম্নাঞ্চলের চরগুলো প্লাবিত হয়।